হাসপাতালের মেঝেতে মায়ের গর্ভ থেকে ছিটকে জন্ম অপরাজিতার, সকলের সামনেই ঘটে তা!
Aparajita Adhya: অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর জন্ম বৃত্তান্ত অলৌকিক। সময়ের আগে জন্ম হয় তাঁর। তাঁর জন্মের সময় অপরাজিতার মা অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। হাসপাতালের মেঝেতে ছিটকে জন্ম হয়েছিলেন অভিনেত্রীর। তিনি মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সকলের সামনেই।
অপরাজিতা আঢ্য। বাংলা সিনেমা এবং সিরিয়াল জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। দুর্গাপ্রতিমার মতো মুখখানি তাঁর। মা-এর চরিত্রে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর মাতৃমূর্তির কারণে সবচেয়ে বেশি মায়ের চরিত্র পান অপরাজিতাই। সেই সিনেমার পর্দাই হোক কিংবা সিরিয়াল। এই অপরাজিতার জন্ম কাহিনি শুনলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। ঠিক যেন কোনও সিনেমারই চিত্রনাট্য। জানেন কীভাবে জন্ম হয়েছিল অপরাজিতার?
অপরাজিতার মা তখন অন্তঃসত্ত্বা। হঠাৎই তাঁর পেটের মধ্যে যন্ত্রণা শুরু হয়। নিরুপায় গর্ভবতীর হাতে অন্য কোনও উপায় ছিল না তখন। হাসপাতালে ছুট্টে গিয়েছিলেন একাই। তাও আবার বাসে চেপে। এদিকে পেট যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছিল তাঁর শরীর। ২০৬টি হাঁড় ভাঙা যন্ত্রণা! কী করবেন, কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। যন্ত্রণা যেন থামতেই চাইছিল না। এদিকে সন্তানসম্ভবা। অন্যদিকে রাস্তায় একাই বেরিয়ে পড়েছিলেন। কাছেই এক হাসপাতালে কোনওমতে প্রবেশ করেন অপরাজিতার সেই বিদুষী মা। ঢোকা মাত্রই এক অলৌকিক কাণ্ড ঘটে যায়। অপরাজিতার হয়তো জন্মের খুবই তাড়া ছিল। মাকে এক জায়গায় থিতু হতেই দিলেন না! একদিকে মা দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে হাঁপাচ্ছেন। অন্যদিকে সেই দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই তাঁর গর্ভ থেকে ছিটকে বাইরে বেরিয়ে আসে কন্যা। এভাবেই জন্ম হয়েছিল অপরাজিতার।
এমন এক জন্ম বৃত্তান্ত নিজ-চক্ষে না দেখলে বিশ্বাস হয় না ঠিকই। কিন্তু এভাবেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন অভিনেত্রী। হাসপাতালের মেঝেতে ছিটকে বেরিয়ে আসার পর অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারত অপরাজিতার। কিন্তু সদ্যজাতের উপর হয়তো অদৃষ্টের অসীম কৃপা ছিল। সে অপরাজেয় থেকেছে। এবং সেই কারণেই তাঁর নামকরণ হয়েছিল ‘অপরাজিতা’।
এখানে অপরাজিতার মায়েরও কৃতিত্বও কিছু কম ছিল না। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো বাসে চেপে, যন্ত্রণা সহ্য করে এত বড় ঝুঁকি নিতেই পারতেন না। কিন্তু অপরাজিতার মা পেরেছিলেন। TV9 বাংলাকে সম্প্রতি এক একান্ত সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা বলেছিলেন যে, তাঁর মা অত্যন্ত বিদুষী নারী, উচ্চশিক্ষিতা। তিনি অসম্ভব জেদী ছিলেন। নিজের ইচ্ছাকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কোনও জুড়িই ছিল না। এবং অসম্ভব সাহসীও ছিলেন। না হলে কি কেউ এভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন!