AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

একা আরাধ্যা নয়, ঐশ্বর্যর নাকি রয়েছে এক পুত্রসন্তানও; কে সে?

Aishwarya Rai Bachchan: কেবল আরাধ্যা নয়, ঐশ্বর্যর নাকি আরও একজন পুত্র সন্তান আছে। সেই 'পুত্র সন্তান' তেমনটাই দাবী করেছিলেন। বিয়ের অনেক আগে নাকি তাঁকে জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ছেলেটি ঐশ্বর্যকে ম্যাঙ্গালুরুতে আসতে বলেছিলেন। তারপর কী ঘটেছিল....

একা আরাধ্যা নয়, ঐশ্বর্যর নাকি রয়েছে এক পুত্রসন্তানও; কে সে?
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
| Updated on: Mar 18, 2024 | 11:38 AM
Share

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জানে প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী, ভারতীয় অভিনেত্রী এবং বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের একটিই মাত্র সন্তান। সে আরাধ্যা বচ্চন। ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর ১৩ বছরে পা রাখবে আরাধ্যা। মেয়েকে সারাক্ষণ নিজের কাছে আগলে রাখেন তারকা-মা। মা-ই তার ছায়াসঙ্গী। কিন্তু জানেন কি অন্ধ্রপ্রদেশের এক যুবক দাবী করে বসেন, তিনি নাকি ঐশ্বর্যর পুত্র। বিশ্বসুন্দরী হওয়ার আগে নাকি তাঁকে জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। কে সেই যুবক? কী তাঁর দাবি?

যুবকের নাম আদিরেড্ডি সন্দীপ কুমার। তাঁর দাবি, ১৯৮৮ সালে লন্ডনে তাঁকে জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ১৯৯৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার ৬ বছর আগে তাঁকে নাকি জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। সেই সময় ঐশ্বর্যের বয়স ছিল মাত্র ১৫। কীভাবে তাঁকে জন্ম দিলেন ঐশ্বর্য, কে সেই সন্তানের পিতা, তা নিয়েও মুখ খুলেছিলেন আদিরেড্ডি।

আদিরেড্ডির দাবী শুনলে অবাক হবেন যে, ঐশ্বর্য নাকি তাঁকে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন, অর্থাৎ IVF পদ্ধতিতে জন্ম দিয়েছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে আদিরেড্ডি দাবী করেছিলেন, “আমার মা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বাবা- মা বৃন্দা রাই এবং কৃষ্ণরাজ রাইয়ের সঙ্গে জীবনের প্রথম দু’বছর কাটিয়েছিলাম আমি। তারপর তিন বছর বয়সে আমাকে পাঠানো হয়েছিল ছোদাভরম গ্রামে। আমার ২৭ বছর হওয়া পর্যন্ত আমি সেখানেই বড় হয়েছি। ২০১৭ সালে আমার দাদু কৃষ্ণরাজ মারা গিয়েছিলেন। আমার মামার নাম আদিত্য রাই।”

ঐশ্বর্যের বাবা মায়ের নাম কৃষ্ণরাজ রাই এবং বৃন্দা রাই। তার ভাইয়ের নাম আদিত্য রাই। এত কথা বলেও আদিরেড্ডি কিন্তু প্রমাণ দেখাতে পারেননি যে, ঐশ্বর্যই তাঁর মা। তাঁর বক্তব্য সমস্ত তথ্য প্রমাণ নাকি নষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। তাঁর অভিযোগ, “আমার অসম্ভব মাথা ব্যথা করে এবং রাগ হয় আত্মীয়দের উপর। ছোটবেলা থেকে ওরা আমাকে ভুলভাল কথা বুঝিয়েছে। তেমনটা না করলে আমি অনেক আগেই আমার মায়ের কাছে ফিরে আসতাম।”

(বাঁ দিক থেকে) ঐশ্বর্য এবং আরাধ্যা; আদিরেড্ডি সন্দীপ কুমার

এদিকে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর অভিনয় জীবন শুরু করেন ঐশ্বর্য। তিনি বেশ মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। এক শিক্ষিকার পরামর্শে মডেলিং কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ঐশ্বর্য। ২০০৭ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেছেন ঐশ্বর্য। আদিরেড্ডির বলেছিলেন, “আমি মাকে খুব মিস করি। আমি চাই আমার মা ম্যাঙ্গালুরুতে চলে আসুক এবং আমার সঙ্গে থাকতে শুরু করুক। ২৭ বছর তাঁর থেকে আলাদা থেকেছি আমি। খুব মিস করি মাকে।”

আদিরেড্ডির এই দাবী শুনে ভাইজ়াকের পুলিশ এগিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন, “ঐশ্বর্য যদি কোনও অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন।” সেই সময় তাঁরা এটাও জানিয়েছিলেন, আদিরেড্ডি সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমানের অনুগামী। জানতে পেরেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের স্টেট রোড ট্রান্সপোর্টেশন কর্পোরেশনের এক বাস কন্ডাক্টরের ছেলে আদিরেড্ডি। সে পড়াশোনায় ভীষণই মেধাবী। মদ্যপানেও নাকি আসক্তি আছে তাঁর।