AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘খুব কাঁদতাম, মনে হত মরে যাই’, ডিভোর্স কেন হল? অকপট ‘কৃষ্ণকলি’

Tiyasha Lepcha: শোনা যায়, প্রথম দিকে সবটা ঠিক থাকলেও যত দিন যায় ততই তিক্ত হতে থাকে সুবান ও তিয়াসার সম্পর্ক। সন্দেহ, অবিশ্বাস সর্বোপরি ইগো এসে ঘিরে ধরে তাঁদের। যার পরিণতি এই বিচ্ছেদ।

'খুব কাঁদতাম, মনে হত মরে যাই', ডিভোর্স কেন হল? অকপট 'কৃষ্ণকলি'
ডিভোর্স কেন হল? অকপট 'কৃষ্ণকলি'
| Updated on: May 05, 2024 | 5:01 PM
Share

‘স্বামীর হাত ধরে উঠল, আর তাকেই ছেড়ে দিল’– কমেন্ট সেকশন থেকে শুরু করে কাছের মানুষ– বিচ্ছেদের পর প্রায় সকলের কাছ থেকেই এরকমটা শুনতে হয়েছে তিয়াসা লেপচাকে। কেন হয়েছিল সুবান রায়ের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ? এই সব নিয়ে সম্প্রতি এক প্ল্যাটফর্মে অকপট তিয়াসা। তাঁর কথায়, “আমার বলতে কোনও দ্বিধাাবোধ নেই আমি আমার স্বামীর হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। অ্যাকশন, কাট, লাইট, ক্যামেরা সব ওর থেকেই শিখেছি। এইগুলো এখনও আমার কাজে লাগছে। আর সেই কারণে সুবানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” তবে ‘ছেড়ে দিয়েছে’ কথাতেই আপত্তি জানিয়েছেন তিয়াসা! তাঁর কথায়, “ওই শব্দটায় সত্যি আপত্তি আছে। ছাড়া ধরার আমি তো কেউ নই। বিচ্ছেদ তখনই হয় যখন দু’জনের সম্মতি থাকে। এখনও যখন হাসপাতালে যাই তখন চোখে পড়ে, ওই বাড়ির বউটা বিষ খেয়েছে, সেই বাড়ির বউয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন জানেন? আমরা যতই ৪জি, ৬ জি ব্যবহার করি না কেন, অনেকের মানসিকতা কিন্তু এখনও সেই টু-জিতে পড়ে আছে।”

শোনা যায়, প্রথম দিকে সবটা ঠিক থাকলেও যত দিন যায় ততই তিক্ত হতে থাকে সুবান ও তিয়াসার সম্পর্ক। সন্দেহ, অবিশ্বাস সর্বোপরি ইগো এসে ঘিরে ধরে তাঁদের। যার পরিণতি এই বিচ্ছেদ। তিয়াসার কথায়, “সবাই কিন্তু মেয়েটাকে বিচার করে। এই নীতিপুলিশদের জন্যই সমাজ আজ এত পিছিয়ে। কেন মেয়েদের এত দোষারোপ করা হয়। সবাই কি সবটা জানে? তাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার সকলের আছে। আমার খুব খারাপ লাগত জানেন। অনেক কাঁদতাম, খেতাম না! মরে যেতে ইচ্ছে হত। মনে হত কেন আমাকে এভাবে বলছে? তবে পরে অনেক ভেবেছি। কাদের জন্য এত কষ্ট পাব? তাঁরা তো আমায় খেতেও দেবেন না, আর পাশেও থাকবেন না।”

এর আগে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন তিয়াসা। তিনি বলেন, “আমি ওর হাত ধরেই এসেছিলাম এই শো-বিজ়ে। ওর হাত ধরেই চিনেছি সবটা, কিন্তু দিন যত গেল সব কীভাবে বদলে গেল সেটা তো ও নিজেও জানে। কৃষ্ণকলির সেটে এসে ও কী করেছিল, সেটা সুবানে প্রশ্ন করা হোক। আমি চেষ্টা করেছিলাম, বেরিয়ে আসতে চাইনি, কিন্তু আর কতো কম্প্রোমাইজ় করব। আসলে ওই যে বললাম আমি খুশি আছি, এটা ও কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। নয়তো একটা মানুষ এক বছরে টুঁ শব্দটা করল না, এখন হঠাৎ করেই ব্যক্তিগত কথা নিয়ে এত সরব কেন?” সুবানের পর ফের সম্পর্কে জড়ান তিয়াসা, যদিও সেই প্রেম টেকেনি।