১৪ অগস্ট ‘রাত দখল’ লড়াইয়ে শামিল হয়েছিল গোটা শহর। শুধু কলকাতা নয়, আরও অনেক শহরেই এ দিন রাতে হয়েছিল জমায়েত। ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশ, শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। এই লড়াইয়ে আম জনতার সঙ্গে শামিল শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও। করিনা কপূর, হৃত্বিক রোশন থেকে টলিপাড়ায় প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো তারকারও। কেউ পথে নেমেছেন। কোনও তারকারা আবার বাড়িতে থেকেই এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। তেমনই দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণার সমাজমাধ্যমের পাতায়।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল নায়িকার চোখে, মুখে আতঙ্কের ছাপ। চোখ ছলছল। আর শাঁখ বাজাচ্ছেন। ব্যস এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর ঘটল উল্টো ঘটনা। কী ঘটেছে? অনুরাগীদের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন নায়িকা। তাঁর এই শাঁখ বাজানোর ভিডিয়ো মোটেই পছন্দ হয়নি কারও। একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে গিয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতা। অনুরাগীদের সমালোচনার পর যদিও নায়িকা নিজের সেই ভিডিয়ো মুছে দিয়েছেন। কিন্তু একটি পোস্ট রয়ে গিয়েছে। যে পোস্টে দেখা যাচ্ছে একটি শাঁখের ছবি। আর তার উপরে লেখা,”মেয়েরা রাতের দখল নাও। আর শঙ্খধ্বনিতে শহর ভরিয়ে দাও।”
সেখানেও নায়িকাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কেউ। কিছু জন মন্তব্য করেছেন,”শাঁখ বাজানোর ভিডিয়োটি আপনি মুছে দিয়েছেন নিজের ফেসবুক থেকে? ভিডিয়োটি খুব সুন্দর এডিট করেছিলেন। জল শঙ্খ কখনও বাজানো যায় আমি জানতেই পারতাম না আপনার ভিডিয়োটি না দেখলে। বলছি লজ্জা হয় না আপনাদের ? লোকজন কে কী এখনও মূর্খ মনে করেন? নাকি নিজেদের উচ্চশিক্ষিত? জোকার।” আবার আর এক জন মন্তব্য করেছেন,”আপনি একটা পচা অভিনেত্রী। ভাল করে শঙ্খ বাজাতে পারলেন না। মেথড অ্যাক্টিংটা ঠিক করে ধরতে পারলেন না। শঙ্খ বাজানোর সময় মুখটা ফোলাবেন তার পর সাউন্ড বসাবেন।” নায়িকার এই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে প্রচুর মিমও তৈরি হয়েছে। না তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেত্রী। একেবারে মুখে কুলুপ ঋতুপর্ণার।