টলিপাড়ায় ভুয়ো কাস্টিং কাউচের বাড়বাড়ন্ত! প্রকাশ্যে বোমা ফাটালেন শ্রুতি

২০২৪ সালে তিনি অনেক নতুন ধরনের কাজে সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম ওয়েব সিরিজ থেকে প্রথম সিনেমা। কিন্তু এতগুলো 'প্রথম'-এর মাঝেও আগের বছর একটা আক্ষেপ রয়েই গিয়েছিল তাঁর। কারণ, ২০২৪ সালে খুব বেশি দিন শুটিং ফ্লোরে কাটাতে পারেননি।

টলিপাড়ায় ভুয়ো কাস্টিং কাউচের বাড়বাড়ন্ত! প্রকাশ্যে বোমা ফাটালেন শ্রুতি

| Edited By: উত্‍সা হাজরা

Feb 07, 2025 | 3:17 PM

২০২৪ সালে তিনি অনেক নতুন ধরনের কাজে সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম ওয়েব সিরিজ থেকে প্রথম সিনেমা। কিন্তু এতগুলো ‘প্রথম’-এর মাঝেও আগের বছর একটা আক্ষেপ রয়েই গিয়েছিল তাঁর। কারণ, ২০২৪ সালে খুব বেশি দিন শুটিং ফ্লোরে কাটাতে পারেননি। সে কথা নিজেই প্রকাশ্যে বলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালের পর অনেক দিন ছোট পর্দায় দেখা যায়নি নায়িকাকে। তবে নানা ধরনের কাজ করে চলেছেন। যে কোনও সামাজিক বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতেও পিছু পা হন না শ্রুতি। তাই তো আবারও সরব অভিনেত্রী। এবার ভুয়ো কাস্টিং এজেন্সি নিয়ে সরব অভিনেত্রী। এবং সেই ভুয়ো এজেন্সির হাত থেকে কী করে বাঁচা যায় সেই পরামর্শও দিয়েছেন নায়িকা।

নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শ্রুতি। তিনি লেখেন, “আমাদের টালিগঞ্জ বা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সত্যিই কি কোনও এজেন্সি দ্বারা কাস্টিং হয়? এখনও পর্যন্ত কি কোনও পরিচালক বা কোনও প্রোডাকশন হাউস, কোনও কাস্টিং কোম্পানির হাতে কোনও সিনেমা, সিরিয়াল বা ওয়েব সিরিজের স্ক্রিপ্ট দিয়ে বলেন যে, ভাই পুরো কাস্টিংটা করে দাও পরিবর্তে এই রেমুনারেশন তোমাকে দিচ্ছি। না, আমাদের কলকাতায় এই ভাবে কোনও কাস্টিং হয়না। আমি নিজে এত বছর সহকারি পরিচালক হিসাবে নিয়মিত কাজ করছি, যে কটি পরিচালনার কাজ করেছি আমি কখনও দেখিনি বা আমার বাবাও কস্মিন কালে দেখেননি। তাহলে এই যে ‘স্যোশাল মিডিয়া’তে এত কাস্টিং এজেন্সির বিজ্ঞাপন দেখি, এরা কী করে? আমারও প্রশ্ন এরা কী করে?”

যদিও সব প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়েছেন নায়িকা। শ্রুতি লেখেন, মফস্বল থেকে আসা ছেলে মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নেন অনেকে। তিনি লেখেন, “এরা টুপি পরায়। তাঁদের, যাঁরা গ্রাম মফস্বল থেকে আসে দু চোখে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু জানেন না কোথায় যাবেন বা কার কাছে যাবেন। সেই না জানারই সুযোগ নেয়। আর এই সমস্ত এজেন্সি গুলো অধিকাংশই জুনিয়র আর্টিস্ট মানে ভিড়ে ১৫ জন দাঁড়াবে সবাই চিৎকার করবে তাঁদের মধ্যে দু একজন একটা দুটো কথা বলবে বা একজন নার্স, ওয়ার্ডবয়, ওয়েটার দু একটি কথা আছে এই ধরনের চরিত্রগুলি যেগুলো সাধারণত কেউ করতে চায়না। সেই কাস্টিং গুলোর জন্য এদের থেকে ছেলে মেয়ে আমরা নিই। আর মাঝে মধ্যে কখনও কোথাও অডিশনের খবর এদের ছেলে মেয়েদের দেয়। হয়তো টালিগঞ্জে একটি কি দুটি এজেন্সি আছে যাঁরা ঠিকঠাক চরিত্রের জন্য রেফার করে। কিন্তু এরা কেউ কাস্টিং করেনা।” সেই সঙ্গে ভুয়ো কাস্টিং কাউচের কবলে পড়ে কী করে টাকা নষ্ট হয় তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন শ্রুতি।