৯ অগস্ট আরজি কর ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। পথে নেমেছিলেন নায়িকা। শিল্পীদের মিছিলে নায়িকাকে গলা ফাটাতেও দেখা গিয়েছে। আবারও প্রতিবাদী শুভশ্রীর আর এক রূপ দেখা গেল। নায়িকার মহিলা স্টাইলিস্টকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। ইনস্টাগ্রামের পাতায় সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কথাই উগরে দিয়েছিলেন নায়িকার স্টাইলিস্ট সিজ়া। তিনি নিজের স্টোরিতে লেখেন,যে ব়্যালিতে হাঁটা কিছু পুরুষ তাঁর স্তনের দিকে এমন লালসার চোখে তাকিয়ে ছিলেন সেটা ভেবেই তাঁর গা ঘিন ঘিন করে উঠছে। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। সেই স্টাইলিস্ট লেখেন,”আমরা কী জন্য প্রতিবাদ করছি বুঝতে পারছি না।” সেই পোস্টটি দেখে আরও কড়া শুভশ্রীর প্রতিবাদের ভাষা। কারণ, এমনিই এই পরিস্থিতি তাঁকে প্রতিনিয়ত মনের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যেও যদি চেনা জানা কারও সঙ্গে এমন কিছু হয় তাহলে বিরক্ত লাগা স্বাভাবিক।
নিজের স্টাইলিস্টের সেই স্টোরি নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন নায়িকা। শুভশ্রী লেখেন,”আমি এমন নই যে সব সময় শুধুই পুরুষদের ত্রুটি, দোষ খুঁজে বেড়াই। নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবতী মনে করি এমন কিছু পুরুষকে আমার চারপাশে দেখি যারা থাকলে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কিন্তু তা বলে এটাও সত্যি যে পুরুষদের মাঝে থাকলে মহিলাদের একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। তাই যারা বলছেন সব পুরুষরা নয়। তাঁদের সবার উদ্দেশে বলছি ভাল পুরুষ হলে সেটা চিত্কার করে কাউকে শোনাতে হবে না। খালি যখন প্রয়োজন তখন মহিলাদের পাশে দাঁড়ান। আপনারা তাঁদের পাশে থাকলে তাঁরা যেন সুরক্ষিত অনুভব করেন।”
সাম্প্রতিক কালে এতগুলো ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। যে বিরক্ত হয়ে নায়িকা আগের দিন একটি স্টোরি ভাগ করে নিয়েছিলেন নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায়। সেই স্টোরি, স্পষ্ট করে গারুদা পুরাণ অনুসারে ধর্ষকের শাস্তি কী ভাবে হওয়া উচিত। ছবিতে দেখা গিয়েছিল বড় খাঁচার ভিতর একটি পুরুষ। তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ। শাস্তি দিতে তাঁর যৌনাঙ্গের উপর খাঁচায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ইঁদুর। যা ক্ষতবিক্ষত করেছে তাঁকে। এরই সঙ্গে লেখা,
“এরকমই শাস্তি হোক। যাতে এরপর কোনও পারভার্ট ধর্ষণের কথা ভাবার সময়ও ভয় কাঁপে।”