‘আমাকে আর কখনও ফোন করবে না’, রেগেমেগে শিবপ্রসাদের মুখের উপর ফোন রেখেছিলেন সৌমিত্র! কী ঘটেছিল সেদিন?
এই ছবি তৈরি করার সময় মাঝে মধ্যেই নানা বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। এই যেমন, অলীক সুখ ছবি তৈরির সময় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে রাজি করাতে গিয়ে রীতিমতো টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন শিবপ্রসাদ।

টলিউডের সুপারহিট পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে বাংলা সিনেপ্রেমীরা প্রায় প্রত্যেক বছরই বক্স অফিস কাঁপানো ছবি উপহার পায়। কিন্ত এই ছবি তৈরি করার সময় মাঝে মধ্যেই নানা বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। এই যেমন, অলীক সুখ ছবি তৈরির সময় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে রাজি করাতে গিয়ে রীতিমতো টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন শিবপ্রসাদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনার কথাই শোনালেন শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা।
২০১৩ সালে মুক্তি পায় নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের ছবি অলীক সুখ। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্য়াস অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল এই ছবি। নন্দিতা ও শিবপ্রসাদের এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার, সোহিনী সেনগুপ্তর মতো অভিনেতারা। কেমিও কিন্তু এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু এই কেমিও চরিত্রের জন্যই সৌমিত্রকে রাজি করানোটা ছিল শিবপ্রসাদের কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ।
এই ছবি তৈরির সময় নন্দিতা স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন তাঁর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেই চাই! ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সৌমিত্রকে রাজি করানো ছিল খুবই কঠিন কাজ। তা শিবপ্রসাদ জানতেন। তবুও এগিয়ে গেলেন। ফোন করলেন সৌমিত্রকে। শিবপ্রসাদের মুখে অভিনয়ের অফার এবং চরিত্রটা শুনে, ফোনেই সৌমিত্র বলে দিলেন, তোমার তো সাহস কম নয়! একদিনের শুটিংয়ের জন্য তুমি আমাকে ফোন করলে! ভবিষ্যতে যেন আর ফোন না আসে। সৌমিত্রর মুখে এমন কথা শোনায়, প্রথমে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন শিবপ্রসাদ। এই ঘটনার কয়েকদিন পর ফের সাহস করে সৌমিত্রকে ফোন করেন শিবপ্রসাদ। সৌমিত্রের সঙ্গে একটিবার সামনাসামনি কথা বলতে চাইলেন। রাজি হলেন সৌমিত্রও। তারপর শিবপ্রসাদের মুখে ছবির গল্প শোনার পর হাতে লাল ডায়েরি নিয়ে সৌমিত্র, শিবপ্রসাদকে বললেন, বলো কবে শুটিং করবে! এই ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ। এটা নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদের কাছেই ছিল বড় পাওনা।
