
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক পথচারীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন টলিপাড়ার পরিচালক ভিক্টো। আহত অনেকে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত যারা, সকলের সঙ্গেই কথা বলে তাদের বক্তব্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে TV9 বাংলা। মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (ঋ)। সেই দুর্ঘটনার সময় ওই গাড়িতেই ছিলেন অভিনেত্রী ঋ।
তাঁকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ”দুর্ভাগ্যবশত আমি ওই গাড়িতেই ছিলাম। যখন ওই অ্যাকসিডেন্ট হয়। তবে আমি কোনও রকম নেশা করিনি, কখনওই করি না। আমার গাড়ি ছিল না। গাড়ি চালাতেও পারি না। তাই আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলেছিলেন পরিচালক ভিক্টো। গাড়িতে আমি আর শ্রিয়া বসু ছিলাম। ভিক্টোর ড্রাইভার ছিল না। তাই ভিক্টোই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমি সঙ্গে-সঙ্গে গাড়ি থেকে নামি। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মাথা কাজ করছিল না। আমায় দেখে ওখানকার ক্রাউড চিনতে পারেন কিনা জানি না। তবে আমাকে রেসকিউ করে বের করে দেন। আমার সেরকম কোনও আঘাত লাগেনি। তবে মানসিক ভাবে ট্রমায় আছি এখনও।’’
ঋ-র বক্তব্য সামনে আসার পরই সোশাল মিডিয়ায় রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আক্রমণ করেছেন। রাহুল লিখেছেন, ”কী সুন্দর না? মানসিক ট্রমা? আরে তোরা এত বড়-বড় কথা বলিস, সামান্য নাগরিক ধারণা নেই একজন মাতালের স্টিয়ারিং এ বসবো না? যার বাড়িতে শেষে মিটিং করে মদ খাওয়া হয়, তার দায় নেই এই মাতালদের বাইরে ছাড়ার? গাড়ি রাখতে পারো আর পার্টির দিন ড্রাইভার রাখতে পারো না? এদের সবরকম কার্ড কাজের অধিকার নিয়ে নেওয়া হোক…আর আইনের সব রাস্তা যেন খোলা থাকে শাস্তি দেওয়ার’’।
অভিনেতা রাহুল দেব বসু লিখেছেন, ” আমি এই ব্যাপারে বিরক্তিকর কথা বলা থেকে বিরত থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঋ-র বক্তব্যে রক্ত গরম হয়ে গেল। তোমরা শুধু একটা ক্যাব নিয়ে নিতে পারতে। গাড়িটা ওখানে পার্ক করতে পারতে। যে কোনও ভালো বন্ধু এটাই সাজেস্ট করবে। ‘ট্রমা’ শব্দটাকে অজুহাত করে আসলে কোনও লাভ হবে না’’।
রাহুল অরুণোদয়ের পোস্টে রূপাঞ্জনা মিত্রর মন্তব্য, ‘’সেটা ওঁদের সবচেয়ে বড় ভুল। এঁরা সুবিধাবাদী সহকর্মী। এটুকু বোধ নেই যে নিজেরা আলাদা ক্যাব ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে যাবে! সেই তো পালালি যখন পুরো ঘটনাটা ঘটল, তারপর। সবাইকে জেরা করা উচিত। তাই হবে হয়তো।’’ সুদীপ্তা চক্রবর্তীও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে টলিপাড়ার ‘হিপোক্রেসি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন লিখেছেন, ”বিক্রম চট্টোপাধ্যায় যদি বাংলা ছবিতে কাজ করতে পারেন, তা হলে ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করতে আপনাদের অসুবিধা কোথায়? কী শাস্তি হবে, তার জন্য আইন আছে!”