Durnibar Saha: নৃশংস! ভরদুপুরে চরম হেনস্থা সস্ত্রীক দুর্নিবারকে, টিপে ধরা হল গলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: উত্‍সা হাজরা

Aug 17, 2024 | 7:27 PM

Durnibar: ভরদুপুরে দর্নিবার সাহা এবং তাঁর স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের উপর হামলা। এক দিকে আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা শহর। তার মাঝেই আর এক অঘটনের খবর। নিজের ফেসবুকের পাতায় এই ঘটনার কথাই জানান গায়ক। এ দিন দুপুরে ঠিক কী ঘটে তাঁদের সঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছতে হত সেই পরিচর্যা কেন্দ্রে। যে রাস্তা দিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন, মাঝ পথে কিছু মানুষ কাজ করছিলেন। যাতে তাঁরা সরে যান তাই বার বার হর্ন বাজাতে থাকেন দুর্নিবাররা।

Durnibar Saha: নৃশংস! ভরদুপুরে চরম হেনস্থা সস্ত্রীক দুর্নিবারকে, টিপে ধরা হল গলা

Follow Us

ভরদুপুরে দুর্নিবার সাহা এবং তাঁর স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের উপর হামলা। এক দিকে আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা শহর। তার মাঝেই আর এক অঘটনের খবর। নিজের ফেসবুকের পাতায় এই ঘটনার কথাই জানান গায়ক। এ দিন দুপুরে ঠিক কী ঘটে তাঁদের সঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছতে হত সেই পরিচর্যা কেন্দ্রে। যে রাস্তা দিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন, মাঝ পথে কিছু মানুষ কাজ করছিলেন। যাতে তাঁরা সরে যান তাই বার বার হর্ন বাজাতে থাকেন দুর্নিবাররা। কিন্তু তার পরেও তাঁরা সরে যাননি। সেখান থেকেই যত ঝামেলার সূত্রপাত। ফেসবুরকের লাইভ ভিডিয়োতে এসে কী বললেন দুর্নিবার?

 

গায়ক বলেন,”ভর দুপুরে রাস্তার মাঝে কাজ করছিলেন ওঁরা। কোথাও কোনও ‘স্টপ’ চিহ্ন ছিল না। পাঁচ-ছয় বার গাড়ির হর্ন বাজানোর পরেও তাঁরা না সরলে আমি গাড়ির কাচ নামাই এবং তাঁদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলি যাতে গাড়িটা যেতে পারে। কিন্তু তাঁরা তেড়ে এসে খুব প্ররোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। আমি বাধ্য হই গাড়ি থেকে নামতে।” গায়কের দাবি তাঁর গলাও নাকি চেপে ধরেছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। এই ঘটনার জেরে যে তিনি কথা বলতে পারছেন না ভিডিয়োতে সে কথাও জানিয়েছেন গায়ক। দুর্নিবার বলেন,”আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার গলায় দাগ। ওঁরা গলা চেপে ধরেছিলেন। আমি এখন ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতের দাগও দেখতে পাবেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের এক জনের গলা আমিও চেপে ধরি। ওঁরা তখন তিন চার জন মিলে রাস্তার উল্টো দিকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান।” এমন পরিস্থিতি দেখে শেষে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন গায়কের স্ত্রী ঐন্দ্রিলাও। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি হলেন অভিনেতা প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক।

গায়ক আরও যোগ করেন। তিনি বলেন,”মোহর (ঐন্দ্রিলা) গাড়ি থেকে নেমে খুব সাহসের সঙ্গে বলে, ‘সাহস থাকলে আমার গায় হাত দিয়ে দেখান’। আমি সত্যিই ওর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক মহিলা মোহরকে দু’বার ধাক্কা দেন। মোহরেরও হাতে ব্যথা লেগেছে। লোক জড়ো হয়ে যায় রাস্তায়। শুধু রাত নয়, ভর দুপুরেও এমন হতে পারে। ওরা একটা কাঠের ডাল নিয়ে তেড়ে এসেছিল। শারীরিক ভাবে খুব আঘাত না হলেও, মানসিক ভাবে আমরা বিধ্বস্ত। যাঁদের চোখে মুখে অশিক্ষার ছাপ, তাঁদের থেকে দূরে থাকবেন।” এই ঘটনাটি ঘটেছে নাকতলার ভিতরে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে। অঞ্চলটি নেতাজিনগর থানার অধীনে। নেতাজি নগর থানায়ই অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। গায়কের দাবি, যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা কেউই মিস্ত্রী নন তাঁরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা।

Next Article