Biswanath Basu: ১৩ বছরের দাম্পত্যের পর বিশ্বনাথ বললেন, ‘চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় আমাদের আগামীকে’
Biswanath Basu: ১৩ বছরের একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়ার পর দেবিকাকে আবার সিঁদুর পরালেন বিশ্বনাথ। বিশেষ ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মা দুর্গার দেখানো পথে ১৩বছর অতিক্রান্ত। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় আমাদের আগামীকে।’
বিশ্বনাথ বসু। টলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। বহু স্ট্রাগলের পর নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করে নিতে পেরেছেন তিনি। তাঁর কাজ পছন্দ করেন দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই অ্যাকটিভ থাকেন অভিনেতা। কাজের খবর হোক বা ব্যক্তিগত আনন্দ, অনেকটাই ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। এ বার নিজের জীবনের এক বিশেষ মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সদ্য ১৩ বছরের বিবাহবার্ষিকী সেলিব্রেট করলেন বিশ্বনাথ এবং তাঁর স্ত্রী দেবিকা। দুই সন্তানের বাবা, মা এই দম্পতি সুখে, দুঃখে একসঙ্গে কাটিয়ে দেন প্রতিটি দিন। বিশ্বনাথের স্ট্রাগলে পাশে থেকেছেন দেবিকা। তাঁদের জুটির রসায়ন চমৎকার। এই বিশেষ দিনে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলে।
১৩ বছরের একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়ার পর দেবিকাকে আবার সিঁদুর পরালেন বিশ্বনাথ। বিশেষ ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মা দুর্গার দেখানো পথে ১৩বছর অতিক্রান্ত। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় আমাদের আগামীকে।’
গত ২১ বছর ধরে বাংলার দর্শককে বিনোদন দিচ্ছেন বিশ্বনাথ। কখনও মঞ্চ, কখনও টেলিভিশন, কখনও বা সিনেমার পর্দায় বিশ্বনাথকে দেখেছেন দর্শক। আশীর্বাদ করেছেন। সেই আশীর্বাদই অভিনেতার এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। ইন্ডাস্ট্রিতে ২১ বছর পূর্ণ করে ফিরে দেখলে দর্শকের আশীর্বাদ, ভালবাসার কাছে মাথা নত হয়ে আসে বিশ্বনাথের।
দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু ভাললাগার মুহূর্ত এসেছে। যা বিশ্বনাথের সারা জীবনের সঞ্জয়। তবে একটি দিনের কথা তিনি কখনও ভুলবেন না। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে বিশ্বনাথ আগেই বলেছিলেন, “বিজয়া রায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ‘ধ্যাততেরিকা’ সিরিয়ালের সময়। আমি গিয়েছিলাম। উনি তখন শয্যাশায়ী। হেসেছিলেন আমাকে দেখে, খেতে দিতে বলেছিলেন। এর থেকে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।”
তরুণ প্রজন্ম, যাঁরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার তৈরি করার কথা ভাবছেন, অগ্রজ হিসেবে তাঁদের জন্য সাজেশন প্রসঙ্গে আগে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বনাথ বললেন, “ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসটা যদি জানা যায়…। তার মানে রমাপ্রসাদ বণিকের ১০টা নাটকের নাম বলতে বলছি না। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের ইতিহাস মুখস্ত করতে হবে তা নয়। আমরা তো পরিবারকে বহন করি। ইন্ডাস্ট্রিও তো পরিবার। পরিবারের প্রতি আস্থাশীল না হলে, ধ্যানধারণা না থাকলে কাজের প্রতি সেটা তুলে ধরতে পারব না। একবার একজনকে বলেছিলাম, তোমাকে অঞ্জনা ভৌমিকের মতো দেখতে, সে বুঝতে পারেনি। কারণ, সে অঞ্জনা ভৌমিককে চেনেই না। এটা সমস্যার।”
আরও পড়ুন, Dharmendra Birthday: জন্মদিনে ধর্মেন্দ্র সম্পর্কে কোন অজানা তথ্য শেয়ার করলেন হেমা?