শুক্রবার মধ্যরাতে রক্তে শর্করার মাত্রা (সুগার ফল) কমে যাওয়ার কারণে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় বাংলা বিনোদন জগতের প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে’কে। দক্ষিণ কলকাতার এইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান হয় তাঁকে। সুগার ফল করার কারণে অসম্ভব শরীর খারাপ হতে শুরু করেছিল দীপঙ্করের। কুলকুল করে ঘামতে শুরু করেছিলেন বাড়িতে। একটু সময় নষ্ট না করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্ত্রী-অভিনেত্রী দোলন রায়। হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শারীরিক পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হওয়ার পর ভোররাতে বাড়ি ফিরেছিলেন দোলন। তারপর শনিবার সারাদিনই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। রাতেও দীপঙ্করের সঙ্গে ছিলেন দোলন।
রবিবার (৫ নভেম্বর, ২০২৩) সকালে জেনারেল কেবিনে দেওয়া হয় দীপঙ্করকে। অনেকটাই সুস্থ তখন তিনি। বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছিলেন। এদিকে রবিবার হাসপাতালের কর্মী সংখ্যা কম বলে তাঁকে ডিসচার্জ করায় সময় লাগছিল। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরেন দোলনের সঙ্গে।
রবিবার ছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতীয় দলের বিপক্ষে খেলছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সুস্থ থাকলে হয়তো মাঠে গিয়ে খেলা দেখতেন দীপঙ্কর-দোলন। কিন্তু ‘খেলা পাগল’ দীপঙ্কর হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই ম্যাচ দেখা শুরু করেন দুপুর ২টো থেকে। তাঁকে যখন ছাড়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে, তখনও তাঁর চোখ মোবাইলের স্ক্রিনে।
দোলন বলেছেন, “মারাত্মক খুশি হয়েছেন দীপঙ্কর। পুরো খেলাটাই দেখেছেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এবং বাড়িতে এসে। ১০০ রান করতে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকার হার দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছেন জানেন। এবারের বিশ্বকাপের একটি ম্যাচও মিস করেননি। আমিও তাঁর সঙ্গে বসে খেলা দেখেছি। তবে আমি পুরো খেলা দেখি না। ক্লাইম্যাক্সের সময় দেখি। বরাবরই দীপঙ্কর ‘খেলা পাগল’ মানুষ। ক্রিকেট হলে তো কথাই নেই। তার উপর আবার বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের উন্মাদনার কারণেই অর্ধেক সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।”