Ditipriya Roy: স্কুলে সরস্বতী পুজো হত না বলে বাড়ির পুজোই ছিল একমাত্র ভরসা: দিতিপ্রিয়া
সরস্বতী পুজোতে TV9 বাংলার জন্য কলম ধরলেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়।
আবারও এক সরস্বতী পুজো। সকাল বেলা স্নান করে অঞ্জলি, পুজোর গোছগাছ। যারা আমায় চেনেন তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন আমার বাড়িতে বেশ বড় করেই পুজো হয়। বিশেষত, গত চার বছর ধরে। এই পুজোর আয়তন বেড়েছে বেশ খানিকটা। মা-ই পুজোর আসল দায়িত্ব সামলায়, তবে আমিও কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকি না। সকাল থেকেই হাতে-হাতে কাজ করি।
ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে পুজো হয়ে এসেছে, ঠিক যেমন আর পাঁচটা বাড়িতে হয়ে থাকে। সমস্ত নিয়ম মেনে, উপোস করে অঞ্জলি দেওয়ার রীতি রয়েছে সেই কোন ছোট থেকে। একটু আগেই বললাম, আমার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমার বাড়ির পুজোতেও সদস্য বেড়েছ। এখন শুধু পরিবার নয়, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও আসে সেখানে। কত মজা হয়। আসলে কী বলুন তো, ওদেরও তো আড্ডা দেওয়ার একটা ছুতো লাগে। ব্যস চল, দিতিপ্রিয়ার বাড়ি। গত দু’বছর ধরে মিডিয়া কভারেজে না বলেছি। কী করব, মা খুব রাগারাগি করে। পুজোর দেরি হয়ে যায়। ওই সময়টা সম্পূর্ণ পরিবার আর বন্ধুদের।
আমি একাদশ-দ্বাদশ পাঠভবনে পড়েছি। পাঠভবনে পুজো হয় না। কেন হয় না যারা স্কুলটিকে চেনেন, জানেন তাঁরা হয়তো জেনে থাকবেন। স্কুলের পুজো যে ওই দুই বছর মিস করিনি এমনটা নয়, তবে বাড়ির পুজোই সেই মিস মিটিয়ে দিত একেবারে। বাড়ির পুজোই ছিল অন্যতম ভরসা। স্কুলে পুজো হত না বলে আশেপাশে স্কুলের অনেক স্টুডেন্ট কথা শোনাত, এখনও মনে আছে। কিন্তু আমাদের যেমন করে ২২ শ্রাবণ, এক্সিবিশন হত তা কি ওদের স্কুলে হত? কথাতেই তো বলে ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে…’। অত কিছুতে কান দিলে কি চলে? তবে হ্যাঁ, পাঠভবনের আগে যে আমি স্কুলে পড়তাম, সেই স্কুলের পুজোয় চলে যেতাম প্রতিবার। এখন যদিও আর যাওয়া হয় না।
সবাই বলে, সরস্বতী পুজো নাকি বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে দুঃখের বিষয় টিনএজ আমার সরস্বতী পুজোয় আজ পর্যন্ত কোনও প্রেম হল না। কেন হল না? কী করব বলুন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, ওরকম র্যান্ডম ভাবে কাউকে যে ভালই লাগে না দিতিপ্রিয়ার।
অনুলিখন: বিহঙ্গী বিশ্বাস