বাংলা ছবির দর্শকদের কাছে ফেলুদা কিংবা ব্যোমকেশ মানেই এক বাড়তি পাওনা। একের পর এক ছবি ।খন পর্দায় মুক্তি পায়, তার মাঝে যদি একটা দুটো গোয়েন্দা ছবি থেকে থাকে তালিকায়, তবে দর্শকদের মনে উত্তেজনার পারদ বরাবরই থাকে তুঙ্গে। আর তেমনই খুব কাছের দুই চরিত্র হল ফেলুদা ও ব্যোমকেশ। যাঁদের বারে বারে রূপ বদলে ফিরে আশায় আজও বিশাসী দর্শকেরা। এমন কি ছবির ব্যবসার ক্ষেত্রেও তাঁদের অবদান নেহাতই কম নয়। ছুটির মরসুমে একটা গোয়েন্দা গল্প যদি পর্দায় রাখা যায় তবে দর্শকও খুশি, ছবির আয়ও ভাল। সত্যিজিৎ রাতের হাত ধরে শুরু হওয়া ফেলুদার রূপ বদল ঘটেছে বহু, পাল্টে পাল্টে গিয়েছে পর্দার ব্যোমকেশও, তবে এ সফরের কোনও শেষ নেই। একের পর এক গল্পকে পর্দায় তুলে ধরতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন একাধিক পরিচালকেরাও।
কখনও বড় পর্দা, কখনও ছোট পর্দা, ওটিটি তালিকা থেকে বাদ পড়েনি কিছুই। সদ্য চর্চায় উঠে আসতে দেখা যায় অপর এক ব্যোমকেশ বক্সি চরিত্রকে। টলিউড অভিনেতা দেব এবার নামভূমিকায়। অন্যদিকে পাহাড়ে রমরমিয়ে চলছে ফেলুদার শুটিং। একদিকে যখন বাংলার সিনেপাড়ায় এই দুই গোয়েন্দাকে নিয়ে হইচই তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ই এ কী বলে বসলেন অভিনেতা রাহুল দেব বসু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ”ফেলুদা এবং ব্যোমকেশের এবার অবসর প্রয়োজন। কোথাও গিয়ে এটা বাঙালির কল্পনার পরিধিকে সীমিত করে দেখায়। তারা কেবলই আমাদের পিছনে আটকে রেখেছে। এটা আমি বলছি, যাঁর কাছে ফেলুদাকে তাঁর স্বপ্নের ভূমিকা।”
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কমেন্ট বক্সে অনেকেই তাঁকে সমর্থন করলেন। কেউ কেউ আবার সপাট প্রশ্ন করে বসলেন, তবে এনাদের বদলে আর কে? কেই বা আছে? ভাল গোয়েন্দা চরিত্র লেখা হচ্ছে কোথায়? যদিও ফেলুদা-ব্যোমকেশ যে বাংলার নস্ট্যালজিয়া সে বিষয় কোনও প্রশ্ন তোলেননি অভিনেতা।