বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। বছর খানেক আগে পরপর সিনেমা রিলিজ় করছিল অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর। বলা হয়েছিল, সেটা ঋত্বিকেরই বছর। চারপাশে আর কোনও অভিনেতা ছিলেন না সেই বছরটায়। কেবলই ঋত্বিক। কিন্তু ইদানিং, তাঁর ছবির সংখ্যা অনেক কমেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আগের তুলনায় অনেকটাই সক্রিয়তা বেড়েছে ঋত্বিকের। প্রচুর পোস্ট করেন এখন। ২০১৯ সালে ‘টেকো’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক। মাথার চুল পরে যাওয়া নিয়ে আয়ুষ্মান খুরানার ‘বালা’র মতো ছবি ছিল সেটি। কিন্তু ইন্দানিং মাথার সব চুল মুড়িয়ে ফেলেছেন অভিনেতা। ‘ফুল ন্যাড়া’ যাকে বলে! এই ন্যাড়া ঋত্বিক এখন আর অভিনেতাও নন নাকি। তিনি অন্য একটি পেশাকে বেছে নিয়েছেন জীবন নির্বাহ করার জন্য। প্রচণ্ড বদমেজাজিও হয়ে গিয়েছেন। লোকজনের সঙ্গে নাকি সাংঘাতিক দুর্ব্যবহার করছেন। হাজরা মোড়ে জুটেছে তাঁর নতুন চাকরি। শুনলে অবাক হবেন, ঋত্বিক এখন একটি এটিএমের বাইরে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছেন! দিনরাত সেখানেই বসে আসেন গার্ডের নীল ইউনিফর্মটি পরে। কেউ তাঁকে চিনতে পারছেন, কেউ আবার পারছেনও না। যাঁরা পারছেন, তাঁরা এগিয়ে গিয়ে ছবি তুলছেন। কাউকে-কাউকে ধমকও দিচ্ছেন ঋত্বিক।
অনুরাগীরা দুঃখ পাবেন না! অভিনেতাদের জীবনে এমন অনেক সময় অনেক কিছু ঘটে থাকে। অনেক কিছুর বিনিময়ে অনেককিছু করতে হয়ে তাঁদের। কখনও ভাল মানুষ হতে হয়। কখনও খারাপ। কখনও ধনী হতে হয়। কখনও গরিব। যেমন এখন ঋত্বিককে হতে হয়েছে। ভোল পাল্টাতে হয়েছে আমূল। কেবলমাত্র দর্শকের মনে প্রশ্ন তোলার জন্য। তিনি পেশা পাল্টে ফেললেনি।
তবে হ্যাঁ, অভিনয় পেশার আসার আগে চাকরি করতেন। কেবল মাত্র অভিনয় করবেন বলে সেই চাকরি ছেড়েছিলেন। তাই অভিনয় তিনি ছাড়তে পারবেন না। এই যে সিকিউরিটি গার্ড হওয়ার বিষয়টি, সেটাও অ্যাক্টিং। অভিনয়। আসন্ন ২৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে তাঁর একটি ছবি, ‘মায়ার জঞ্জাল’। পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ছবি সেটি। তাতে সিকিউরিটি গার্ডের চরিত্রে দেখা যাবে ঋত্বিককে। বিশেষ একটি চরিত্র। চরিত্রের নাম চন্দন সাঁতরা।
এই ছবির প্রচারের জন্যই দিনরাত নিজেকে সিকিউরিটি গার্ড সাজিয়ে লোকের সামনে হাজির করছেন ঋত্বিক। অভিনেতার ছবি প্রচারের নয়া পদ্ধতি যেন!