গত বছরটা অন্যরকম ছিল অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে। পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী। সে বছর ২ অক্টোবর থেকে পুজো শুরু হয়েছিল। সোনালীর শরীরটা ভালর দিকে ছিল না। ভুগছিলেন নানা কারণে। মা দুর্গার বিসর্জনের সপ্তাহ তিন পরই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে স্বামী শঙ্করকে নিঃসঙ্গ করে চলে যান সোনালী। স্ত্রী বিয়োগের কিছুদিন পর পর্যন্ত ঠিক মতো কথাও বলতে পারছিলেন না শঙ্কর। তারপর ধীরে-ধীরে ছন্দে ফেরে তাঁর জীবন। কাজে যেতে শুরু করেন শঙ্কর। স্টুডিয়ো পাড়ায় তাঁর দেখা মেলে।
এ বছরটা জীবনে প্রথম সোনালীহীন অবস্থায় কাটছে শঙ্করের। পুজোর ঢাক, পাড়ার মোড়ে সানাইয়ের সুর, লাল-নীল-হলুদ টুনি বাল্বের রোশনাই আছে, কিন্তু কোত্থাও সোনালী নেই। কেবল স্মৃতিতেই তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। তাই তো গতবারের পুজোর ষষ্ঠীর (আজও ষষ্ঠী – ২০ অক্টোবর, ২০২৩) সন্ধ্যার ছবি শেয়ার করেছেন শঙ্কর। ছবিতে দেখা যায় কোনও এক আবাসিকের পুজোতে রয়েছেন তাঁরা। পিছনে উঁচু বাড়িগুলির শরীরময় জোনাকি আলো। চেয়ারে পাশাপাশি শঙ্কর-সোনালী। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে শঙ্কর লিখেছেন, “গত বছরের ষষ্ঠী। তুমি ছিলে। হয়তো আছো। আমি দেখতে পাই না শুধু। আবার দেখা হবে।” কমেন্ট বক্সে এসে শঙ্করের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, একদিন না-একদিন ঠিকই দেখা হবে শঙ্কর-সোনালীর।
মাত্র ৫৯ বছর বয়সে মৃত্যু ঘটে অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তীর। কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মৃত্যুর পরপরই হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছিল, লিভারে কর্কটরোগ বাসা বেঁধেছিল তাঁর। অনেক লড়াইয়ের পরও শেষরক্ষা হয়নি। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বাংলা বিনোদন জগতের সকল কলাকুশলীরাই উপস্থিত ছিলেন সোনালীর শেষ যাত্রার।