‘আমি অনেক কিছু করতে পারতাম কিন্তু আমি করিনি, শুধু মনের জানলাগুলো খুলে রেখেছিলাম যাতে মনের আলোবাতাসগুলো ঢুকতে পারে। তুমি গোয়েন্দা, তুমি মানুষের অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করো, নিজের মনে কোনওদিন অন্ধকার জমতে দিও না ফেলু, কোনওদিন অন্ধকার জমতে দিও না।…’ ফেলুদা থেকে এই উক্তি তুলেই এদিন টোটা রায়চৌধুরী ট্রোলিং প্রসঙ্গে বক্তব্য শুরু করেন।
ফেলুদা জমজমাট, বুধবার ট্রেলার মুক্তি পেল হইচইয়ের আগামী ফেলুদা সিরিজ দার্জিলিং জমজমাট-এর। ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে এসে এবার এক অন্য প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন ফেলুদা টোটা। অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী বরাবরই স্পষ্টবক্তা। নিজের মত করে সাফ কথা তুলে ধরতে দুবার ভাবেন না তিনি। অতীতেও যার প্রমাণ মিলেছে একাধিকবার। এবার টোটা রায়চৌধুরীর নিশানায় ট্রোলার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্য ট্রোলিং কোনও নতুন বিষয় নয়। যে কোনও গরমাগরম প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করেই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে এক বিন্দুও ছাড়েন না ট্রোলাররা। আর এতেই ঘোর আপত্তি টোটা রায়চৌধুরীর। টোটার কথায়, কিছু শ্রেণীর মানুষ রয়েছেন, যাঁরা এখন অধির আগ্রহে বসে আছেন, ট্রেলার মুক্তি পেলেই ভুল এক, ভুল দুই বলে তালিকা তৈরি করবেন। কিন্তু টোটা রায়চৌধুরী এহেন নেগেটিভিটির পক্ষপাতী নন।
সৃজিতের ফেলুদা হোক অথবা পরমব্রতর ফেলুদা, এমনকী খোদ সন্দীপ রায়ের ফেলুদার ট্রেলার রিলিজ়ের সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ট্রেলার ঘিরে শুরু হয়ে যায় কাটাছেঁড়া, যা অনেক সময়ই গড়ায় ট্রোলিং অব্দি। দার্জিলিং জমজমাট-এর ট্রেলারও যে ট্রোলারদের জন্য খোরাক, তা জানে ফেলুদা। তারা যে এক-দুই-তিন করে খুঁত ধরবে, তা অজানা নয় ‘মগজাস্ত্র’-এর অধিকারী প্রদোষ চন্দ্র মিত্র্রর। আর তাই-ই ট্রেলার মুক্তির দিনই অকপট, ট্রোলিং নয়-হোক গঠনমূলক সমালোচনা।
তাই এবার সপাট মন্তব্য পাল্টা ট্রোলারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন টোটা রায়চৌধুরী। ‘আমরা প্রত্যেকেই চাই গঠনমূলক সমালোচনা ও সৎ সমালোচনা, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করা, নেগেটিভিটি ছড়ানোর জন্য সমালোচনা করা হয়। আমি সেগুলোকে গ্রহণও করি না, এবং প্রশ্রয়ও দিতে পছন্দ করি না। মনে আমরা যে সেই দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে বানাচ্ছি ঠিক একই দৃষ্টিভঙ্গী সম্পন্ন মানুষেরাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুক, তাঁদের যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাঁরা সঠিকভাবে প্রাণ খুলে জানাক, কিন্তু ট্রোলিং-কে আমি কখনই বরদাস্ত করব না।’