মাতৃহারা হলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। ৯২ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর মা আরতি রায়ের। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭-৮টা নাগাদ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতেন তিনি। আরতিদেবী ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ নৃত্য জগৎ।
মায়ের সঙ্গেই থাকতেন দেবশ্রী। মা ছিলেন তাঁর পরম বন্ধু। অনেক যত্নে রেখেছিলেন মাকে। অভিনেত্রী একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়েছেন মাকে হারিয়ে। এ ক্ষতি মেটার নয়। দেবশ্রীর নাচের প্রতি ভালবাসা মায়ের কারণেই। আরতিদেবীর একটি নাচের স্কুল রয়েছে – সাঁই নটরাজ ডান্স স্কুল। সেই স্কুল থেকে বহু ছেলেমেয়ে বর্তমানে নৃত্য়দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের মধ্যে একজন অভিরূপ সেনগুপ্ত তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “মাসিমা, শ্রীমতি আরতি রায় আর আমাদের মধ্যে নেই। সাঁই নটরাজ ডান্স স্কুলকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। আমি সেই নাচের স্কুল থেকেই ক্রিয়েটিভ নাচ শিখেছি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমার। অনেক কিছু শিখেছি। দেবশ্রীদি ও তাঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।”
গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীতেই চলে গেলেন আরতিদেবী। দেবশ্রীর সাঁই নটরাজ ডান্স স্কুলের কর্ণধার ছিলেন তিনি। একটা সময় একাহাতেই দেখভাল করেছেন এই স্কুলের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট, দেবশ্রীর জন্মদিনে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন আরতিদেবী। অনেক রক্ত ঝরে তাঁর। সেই ঘটনার পর অনেকটাই নাকি কাহিল হয়ে পড়েছিলেন আরতিদেবী। সেই কারণেই নাকি নিজের জন্মদিনে মাকে পায়েস রেঁধে খাইয়েছিলেন দেবশ্রী।