১০ বছরের ছোট ভাই। দিদি হিসেবে তো আগলে রাখারই কথা। না! ভাইকে আগলে দিদি রাখেননি। বরং ছোটবেলায় ভাইয়ের উপর যৌন নির্যাতন করেছেন দিদি! ঠিক এমনই একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র। সৌজন্যে পরিচালক সানি রায়ের নতুন ছবি ‘বিষাক্ত মানুষ’।
TV9 বাংলাকে এ বিষয়ে সঙ্ঘশ্রী বললেন, “আমার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছে সৌরভ দাস। ওর দিদির চরিত্র। ছোটবেলায় যে ভাইকে যৌন নির্যাতন করেছে। মামাতো ভাই, পিসতুতো দিদি। ভাই ছোড়দিভাই বলে ডাকে। মেয়েটি এখন ভাইকে ব্ল্যাকমেল করে। ভাই তখন বলে, ‘তোমার ব্যাপারে বলে দেব’। দিদি বলে, ‘আমি বলব তুই অসভ্যতা করিস, দেখব কে তোর কথা বিশ্বাস করে’। এরকম…।”
‘মনসুন ওয়েডিং’-এ রজত কাপুরের চরিত্র এই ছবির জন্য সঙ্ঘশ্রীর রেফারেন্স ছিল। পরিচালকই তাঁকে এই রেফারেন্সের কথা বলেন। তাঁর কথায়, “গতকাল আমার শুটিং ছিল। শট দেওয়ার পর থরথর করে কাঁপছিলাম। সানি বলছে ভাল হয়েছে। আমি কিছু শুনতেই পাচ্ছিলাম না।” অভিনেত্রী জানালেন, ব্যক্তিজীবনেও এমন দিদি বা দাদার দেখা পাওয়া যায়। পরিবারের বহু আত্মীয় এমন কাজ করেন। সেগুলো হয়তো প্রকাশ্যে আসে না। তাঁর নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সঙ্ঘশ্রী বললেন, “কলেজ পড়াকালীন আমার এক জামাইবাবু অসভ্যতা করার চেষ্টা করেছিল। সেই দিদি এখনও সংসার করছে। এটা লিখতে পারেন। আমার বা আমার মায়েরও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমার মামাতো ভাই ঠিক সময়ে সে দিন চলে এসেছিল। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ওই জামাইবাবুকে ছোটবেলা থেকে দেখছি। ১০ বছর সেই কথা বাড়িতে বলিনি। আমার বিয়ের আগে মাকে বলেছিলাম। মা ওকে বিয়েতে নেমন্তন্নই করেনি। দিদির কম বয়সে ধনী পরিবার দেখে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে এমন চরিত্র আমাদের আশপাশেই থাকে। প্রচন্ড শান্ত। এই ধরনের লোককে এমনি দেখে বোঝা যায় না।”
এই মুহূর্তে টেলিভিশনে ‘গোলেমালে গোল’ শো-এ কাজ করছেন সঙ্ঘশ্রী। আপাত ভাবে তাঁকে কমেডি চরিত্রে বেশি দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। কিন্তু প্রতিম ডি গুপ্তর পরিচালনায় ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’ ছবিতে একেবারে অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সঙ্ঘশ্রীর কথায়, “ওই ছবিটার পর সকলে বলল, ‘বাবা তুই এরকম ক্যারেক্টারও করতে পারিস!’ কমেডির বাইরে অন্য কিছু করতে চাইছি। নেগেটিভ করতে চেয়েছিলাম বলেই ‘বিষাক্ত মানুষ’ করলাম। ছ’মাস আগেই যখন মেগা করছিলাম, তখন মনে হল লোকের ওয়েব সিরিজ আমাকে ছাড়া কমপ্লিট হচ্ছে না। আর এখন মেগা ছেড়ে দেওয়ার পর কোনও অফার নেই!”