বাংলা ছবির বর্ষীয়ান অভিনেতা সমীর মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। বেহালায় তাঁর নিজের বাড়িতেই মারা গিয়েছেন তিনি। অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালেও। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেও এসেছিলেন। তারপর সকাল থেকে হঠাৎই বমি। আর বাঁচানো গেল না মানুষটাকে। সত্যজিৎ রায়ের বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সমীর মুখোপাধ্যায়। অনেকদিন যাবৎ আড়ালেই ছিলেন। তাঁকে নাকি ভুলে গিয়েছে টলিউডের মানুষ! তাই দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
আগেকার অভিনেতাদের সম্পর্কে স্পর্শকাতর সুদীপ্তা। পুরনোদের আলাদা সম্মানের চোখে দেখেন চিরকাল। তাই হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পীকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “আমরা বেশ ভুলে যেতে পারি। বড়দের, পুরনোদের, যাঁরা আমাদের হাঁটার রাস্তাটা তৈরি করে দিয়ে গেলেন তাঁদের। যাঁরা এখন বাতিল বা ব্রাত্য তাঁদের। সবাইকে ভুলে মেরে দিয়ে নিজেরা সেই রাস্তায় দিব্যি হাঁটতে পারি। সঙ্গে ৮-১০জন বাউন্সার নিয়ে (বেশির ভাগ সময়েই অকারণে)। সমীরকাকুকেও ভুলে গেছি আমরা। সত্যজিৎ রায়ের বহু ছবি চললেই তাঁর দেখা পাই। অগুনতি সাদা-কালো বা রঙিন পুরনো বাংলা সিনেমায় ছোট থেকে বড় নানা চরিত্রে অভিনয় করে মানুষকে কখনও হাসিয়েছেন। কখনও রাগিয়েছেন সমীরকাকু। গাড়ি চড়ে স্টুডিয়োয় ঢুকতে আমি অন্তত কোনওদিন দেখিনি। অন্যরা দেখেছেন কি না জানি না। বেহালায় নিজের অঞ্চলে লুঙ্গি আর ফতুয়া পরে সব্জি বাজার করতে দেখেছি বহুদিন। সাদামাটা জীবনযাপন করলেন বলেই কি আমরা ভুলে গেলাম? নাকি ইনস্টারিল বানান না বলে? কী জানি ! তবে ভুলে যে আমরা গেছি, সে বিষয়ে নিশ্চিত। যাই হোক, আর তো দেখা হবে না। ক্ষমা চাওয়ার অপশনটাও রইল না।
সমীর মুখোপাধ্য়ায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে TV9 বাংলা কথা বলে তাঁর পরিবারের সঙ্গে। অভিনেতার ভাই বিমলকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শরীরটা খারাপ যাচ্ছিল অভিনেতার। বয়স হয়েছিল তাঁর। ৮০ বছর পেরিয়ে গিয়েছিলেন। স্ট্রোকে মৃত্যু।