Aindrila Sharma Death: ‘ঐন্দ্রিলাইফ’-এর মঞ্চে চোখে জল অভিনেত্রীর মায়ের, পাশে পেলেন সব্যসাচীকে
Aindrila Sharma: ওই অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয় বিশ্বকাপ ফুটবলে রেকর্ড সৃষ্টিকারী অশীতিপর চৈতালী চট্টোপাধ্যায়কে। ফুটবলপ্রেমী স্বামী মারা গেছেন কোভিডে। দশ বিশ্বকাপ দেখার পর এবার একা শয্যাশায়ী।
মাঝে ঠিক দুটো সপ্তাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ শুরু হয়েছে ভুলে যাওয়ার পালা। কিন্তু কেউ কেউ আরও বেশি করে মনে রাখছে ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma)। যেমন রেখেছে ‘ঐন্দ্রিলাইফ’। শহরে শীতের সন্ধেতে ঐন্দ্রিলাকে মনে রাখতে জাতীয় বিমা কর্মীরা নিলেন এক উদ্যোগ। এইডস আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন। তাদের ওষুধ পথ্যের ভার নিলেন। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন ঐন্দ্রিলার মা। মেয়ের নামে মঞ্চ। মানুষের পাশে থাকার মঞ্চ। চোখের জল বাঁধ মানেনি ঐন্দ্রিলা শর্মার মায়ের । ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা বলেন , ” অন্যের পাশে থাকতে পছন্দ করতো । সব্যর (সব্যসাচী চৌধুরী) সঙ্গে মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে করোনার সময়। ইচ্ছে ছিল একটা অনাথ আশ্রম করার। টাকাও জমিয়ে ছিল।” সে আশা পূর্ণ হয়নি ঐন্দ্রিলার। তবে ইচ্ছে ছিল ষোলোআনা।
ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কীভাবে হবে ভেবে পাচ্ছিলেন না উদ্যোক্তারা । ফোন বেজে যাচ্ছিল সব্যসাচীর। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন অভিনেতা। অতঃপর উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সব্যসাচীকে উদ্দেশ্য করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ করে রাখা হয় অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য উল্লেখ করে। অবশেষে উত্তর আসে সব্যসাচীর। উদ্যোগকে তিনি সমর্থন জানান। প্রণাম ইমোজি দিয়ে বোঝান, ভাল কাজে সবসময় ছিলেন-আছেন- থাকবেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো নয়, বরং মানুষের পাশে, মানুষের সঙ্গেই জুড়ে যাক ঐন্দ্রিলা, এমনটাই চায় তাঁর পরিবারও।
ওই অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয় বিশ্বকাপ ফুটবলে রেকর্ড সৃষ্টিকারী অশীতিপর চৈতালী চট্টোপাধ্যায়কে। ফুটবলপ্রেমী স্বামী মারা গেছেন কোভিডে। দশ বিশ্বকাপ দেখার পর এবার একা শয্যাশায়ী। ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। বিশ্বকাপ দেখা তো দূরস্ত। তাঁর পাশেই এবার দাঁড়ালেন পাশে ঐন্দ্রিলাইফ বীমাকর্মীরা। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও জাতীয় জীবন বীমা কর্মচারী সমিতি (পূর্বাঞ্চল)-এর সাধারণ সম্পাদকজ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন , ” অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন । আমরা সেই পথে না হেঁটে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কিছু করতে চেয়েছি। তাই এঁদের পাশে থাকার উদ্যোগ ।” এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার পরিবারও। কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপেছে মায়ের। তবু এভাবেই মেয়ে থেকে যাবেন– তা যে জানেন শিখাদেবীও।