মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়েছে লড়াই। এর পর কেটে গিয়েছে পাঁচ রাত। কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা? এ প্রশ্নই এখন অনুরাগী থেকে সহকর্মীদের। জানা যাচ্ছে, সি-প্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। রয়েছেন ভেন্টিলেনশনে। তবে খুশির খবর, গায়ের তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাঁর। এমনকি রক্তচাপ ও শ্বাসপ্রশ্বাসও স্বাভাবিক তাঁর। চলছে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। তবে এখনও তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায়, তাঁর অবস্থা এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল।
শনিবার জানা গিয়েছিল, ট্র্যাকিওস্টমি হয়েছে তাঁর। চিকিৎসার পরিভাষায় ট্র্যাকিওস্টমি হল গলায় ফুটো করে নল ঢুকিয়ে খাবার প্রবেশ করানো। জানা গিয়েছিল বাঁ হাত নাড়িয়েছেন ঐন্দ্রিলা। চোখও খুলেছিলেন। মঙ্গলবার রাত্রে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলার মায়ের ফোনে প্রেমিক সব্যসাচীর গাড়িতেই হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাঁর একদিন অসাড় হয়ে যায়। হয় মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও। ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা ঠিক কেমন তা নিয়ে প্রথম আড়াই দিন নীরব থাকলেও গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার মুখ খুলেছিলেন সব্যসাচী। তিনি বলেন, “ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না”। এই কঠিন সময়ে ঐন্দ্রিলার বাড়ির লোক, পরিবার পরিজনকেও যাতে বিরক্ত না করা হয় সে বিষয়ে আর্জি জানান তিনি। জানান, ঐন্দ্রিলার এই অসুস্থতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি কোথাও কিছু বলেননি। এমনকি ভবিষ্যতেও বলবেন না। সব্যসাচীর কথায়, “মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। ” ঐন্দ্রিলা সুস্থ হবেনই। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সব বাজি রাখতে রাজি সব্যসাচী তাই তো তিনি আশাবাদী, বা বলা ভাল আত্মবিশ্বাসী। তাঁর অঙ্গীকার, “নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না”।
ঐন্দ্রিলার লড়াই আজকের নয়। একাদশ শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত বছরেও ক্যানসারে আক্রান্ত হন তিনি। তবে দু’বারই ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছিল মূল স্রোতে। শুরু করেছিলেন কাজও। এবারেও তিনি ঠিক ফিরে আসবেন। আবারও দেখা যাবে তাঁকে দেখা যাবে টিভির পর্দায়– এই আশাতেই বুক বাঁধছেন ঐন্দ্রিলার গোটা পরিবার ও প্রিয়জনেরা।