Aindrila Sharma: মৃত্যুর দেড় মাস পর হঠাৎই ঐন্দ্রিলার প্রোফাইল থেকে সব্যসাচীকে নিয়ে পোস্ট! কে করলেন?
Aindrila Sharma: অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ভেরিফায়েড প্রোফাইল। সেখান থেকে শেষ পোস্ট হয়েছিল গত বছর ৩০ অক্টোবর। এরপরেই ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে।
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ভেরিফায়েড প্রোফাইল। সেখান থেকে শেষ পোস্ট হয়েছিল গত বছর ৩০ অক্টোবর। এরপরেই ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। সেখান থেকে ১৯ দিনের যুদ্ধ। ঐন্দ্রিলা ফিরে আসেননি। দেড় মাস পর সেই প্রোফাইল থেকেই হঠাৎ এক পোস্ট। গত বছর অক্টোবরে প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর জন্মদিন পালন করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেই ভিডিয়োই করা হয়েছে শেয়ার? ক্যাপশনে লেখা, “হ্যাপি বার্থ ডে আমার সব্য”। শুধু যে একটি পোস্টই শেয়ার তা নয়। ঐন্দ্রিলার অনুরাগীদের সঙ্গেও ওই পোস্টের মাধ্যমে করা হচ্ছে কথোপকথন। এমনকি ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মার প্রোফাইলে গিয়েও লেখা হয়েছে, “মা আমি সব সময় তোমার কাছে থাকব।” কে করেছেন সেই সব পোস্ট? তাঁর প্রোফাইল কি হ্যাক করা হয়েছে? এ সব প্রশ্ন নিয়েই টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে। ঐন্দ্রিলার মা জানিয়েছেন, হ্যাক হয়নি। তিনিই ঐন্দ্রিলার প্রোফাইলটি আবার সচল করেছেন। পোস্টদাত্রী তিনিই। তাঁর কথায়, “মিষ্টি (ঐন্দ্রিলার ডাক নাম)র প্রোফাইল থেকে অনেকদিন কিছু লেখা হয়নি। ওটা খোলাও হয়নি। ওটা যদি সচল না রাখি তবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সক্রিয় রাখতেই আমি নিজেই পোস্ট করছি। ওকে যারা ভালবাসেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি।” ঐন্দ্রিলার ফোনটাও চালু রেখেছেন শিখাদেবী। মেয়ের স্মৃতি জড়িয়েই তাঁর জীবন যাপন।
ঐন্দ্রিলার মা নিজেও ক্যানসার আক্রান্ত। ১৪ বছর পর ক্যানসার ফিরে এসেছে ক্যানসার। ব্লাডারে ক্যানসার ধরা পড়েছে তাঁর। এই মুহূর্তে বহরমপুরেই চলছে চিকিৎসা। শিখাদেবী টিভিনাইন বাংলাকে জানিয়েছেন, মোট ১৮টি কেমো নিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে ১১টি তিনি নিয়েছেন। আগামী ১৩ জানুয়ারি কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হবে তাঁর। তবে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলেই জানিয়েছেন শিখাদেবী। তাঁর কথায়, “অক্টোবরে ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন থেকেই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে মিষ্টি (ঐন্দ্রিলা)র যে এসব বুঝতে পারিনি। আমি এমনিতে ঠিক আছি। অপারেশনের জন্য কলকাতা আসব কিছু দিনের মধ্যেই।” এর আগে জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়েছিল শিখাদেবী ১৪ বছর আগে। সে সময় তাঁর দুটি জরায়ুই বাদ দিতে হয়, যদিও এর পর ভালই ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। ক্যানসারের সঙ্গে দুবার যুদ্ধে জিতে ফিরলেও তৃতীয়বার আর ফেরা হয়নি। বয়স হয়েছিল ২৪ বছর। তিনি চলে গেলেও স্মৃতি আজও অমলিন।