রবিবার বেলায় থমকে গিয়েছিল সিনে দুনিয়া। টলিপাড়া এমন সকাল দেখতে হবে সে আশা করেনি। যখন মিরাকেল ঘটার ইঙ্গিত দিয়েচিলেন খোদ সব্যসাচী চৌধুধী, সেই মিরাকেল যে ঘটতে ঘটতেও ঘটবে না কে জানত? সকলকে থেড়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা এভাবে চলে যাবেন কে জানত? মৃত্যুর আগে থেকেই চুপ সব্যসাচী। শনিবার রাত থেকেই সমস্ত পোস্ট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। মিরাকেলের অপেক্ষা তিনি আর করেননি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিয়েছিলেন বিদায়। তবে ঐন্দ্রিলার পরিবার আজও যেন মেনে নিতে পারছেন না এই কঠিন সত্যি। আজও মিরাকেলের আশায় তাঁর দিদি ঐশ্বর্য্য শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে দুটি পোস্ট করলেন তিনি ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর। বোনকে আজও তিনি খুঁজচ্ছেন, আজও তিনি ভরসা রাখার চেষ্টা করছেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপে।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ অপূর্ণ থাকা স্বপ্নের কথা তুলে ধরলেন তিনি, একাধিক প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেন এদিন তাঁর বোনকে। লিখলেন- অনেকদিন তো হলো ,এবার তাড়াতাড়ি চলে আই বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো ?কে আমার ছবি তুলে দেবে ? কে না বলা মনের কথা গুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে ? কে আলাদিন-এর আশ্চর্য্য প্রদীপ এর মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে ?কার সাথে আমি ঘুরতে যাবো ?কার সাথে পার্টি করবো? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো গল্প করবো ? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে ?
বয়স হয়েছিল সবে মাত্র ২৪ বছর। তারই মধ্যে পথচলা থামা ঐন্দ্রিলার, সত্যি তো জীবনে কত আররও কতটা পথ চলার বাকি চিল তাঁর। ঐশ্বর্য্য লিখলে গেলেন, আমাদের এখনো কত প্ল্যান্স বাকি আছে বলতো ? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে ? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবীর সাথে লড়বে, আমাকে আগলে রাখবে ?আমার যে তুই ছাড়া আর কোনো প্রিয় বন্ধু নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছর এ আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।