প্রতিটা ছবির সেটেরই কিছু না কিছু গল্প থাকে। প্রতিটা ছবি তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নেয় হাজার এক ব্যকস্টেজ কাহিনি। যা কখনও প্রকাশ্যে আসে, কখনও আবার গোপনেই থেকে যায়। অভিনেত্রী নুসরত জাহানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টাই ঘটেছিল এ ক্ষেত্রে। স্লিম ফিগার, ডায়েট মেনে চলা সেলেব যে খেতে ভালবাসেন, তা খুব একটা বিরল দৃশ্য নয়। তবে রীতিমত খাচ্ছেন, এটা দেখলে কিছুতেই যেন মন মানতে চায় না। ঠিক এমনই এক চরিত্র হলেন নুসরত জাহান। সেলেবর গোপন ফান্ডা ফাঁস করেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। তাঁরা একসঙ্গে বেশ কিছু ছবি করেছেন। তবে বলো দূগ্গা মাইকি ছবির সেটে যা ঘটে তা আর চেপে রাখতে পারেননি অঙ্কুশ।
অঙ্কুশ সুযোগ বুঝে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছিলেন নুসরতের কাণ্ডে রীতিমত প্রযোজনা সংস্থা থেকে অভিযোগ এসেছিল। কী দোষ করেছিলেন তিনি? অঙ্কুশের কথায়, বড্ড বেশি খান নুসরত। সেটে নাকি সব সময় তিনি খেতেন। আর তা নিয়ে মজা করতেই এমন মন্তব্য তাঁরয। যদিও সবটা শুনে আকাশ থেকে পড়েন সেলেব। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অঙ্কুশ তাঁর বিষয় এমনটা বলছেন। তবে সত্যি কী ঘটিয়েছিলেন নুসরত, নিজেই জানালেন।
ছবির শুটের সময় দুর্গাপুজোতে ঠিক যেভাবে খাওয়া দাওয়া চলে, সেটেও ঠিক তেমনটাই হতো চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে। প্রতিদিন কিছু না কিছু মেনু থাকত স্পেশাল। ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল, যেখানে দেখা যায় অঙ্কুশ পাত ভরে খাচ্ছেন। বারে বারে টেক নেওয়া হচ্ছিল শর্টটার। অবশেষে অঙ্কুশের পাতে মিষ্টি দেওয়ার সময় নুসরত চোখ রাঙিয়ে বলেছিলেন, একটাই পান্তুয়া আছে, তিনি যেন সেটা না খান। দিদি নম্বর ওয়ান-এর সেটে এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই গল্প শুনিয়েছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। যা শুনে রীতিমত লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন সেলেব।