খবরটা টলিপাড়ার অন্দরে ঘুরছিল অনেকদিন ধরেই। অঙ্কুশ হাজরা যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন পূরণ করেই ছাড়বেন তিনি। সহ প্রযোজকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাতে কী? বারবার করেই নায়ক জানাচ্ছিলেন শেষ দেখেই ছাড়বেন তিনি। অবশেষে মহালয়ার সকালে হুঙ্কার দিলেন নায়ক। বললেন, “নাম নয় ইজ্জত চাই’। একই সঙ্গে তাঁর প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ছবি ‘মির্জা’র অফিসিয়াল টিজারও সামনে আনলেন। পরিচালক সুমিত-সাহিল। ট্রেলার দেখে চমকে যেতে হয়। বহুদিন বাংলায় এ হেন মশালা ছবি হয়নি বললেই চলে। কালার কারেকশন থেকে শুরু করে অঙ্কুশের লুক– সবেতেই যেন চমক।
শুধু কি তাই? যা সংলাপ লেখা হয়েছে ইংরেজিতে বললে তা এক্কেবারে ‘র’, কিছু কিছু তো লেখারও অযোগ্য। অঙ্কুশ হুঙ্কার দিতে থাকেন, ‘ফাঁকা ছিল পকেট, ফুটি ছিল কিসমত। তাও খুদার কাছে ইবাদতে…’। আবার কখনও বা বলতে থাকেন, ‘আমার নাম না বদনাম জানি না…’। টিজারের আঁচ এসে পড়েছে টলিপাড়ার দুই পরিচালকের গায়েও। রাজ চক্রবর্তীও অঙ্কুশের টিজার দেখে রীতিমতো অবাক। লেখেন, “ভীষণ ভাল লাগছে তো রে। অনেক শুভেচ্ছা জয় জগন্নাথ”। অঙ্কুশের এ হেন রূপ দেখে অবাক বাবা যাদবও। তিনি লেখেন, “ভীষণ ভাল একটা শুরু। আমার অনেক শুভেচ্ছা তোমায় অঙ্কুশ। তোমার পরিশ্রম অবশেষে এক আকার পেতে শুরু করেছে। ভাই এখনও অনেক দূর যেতে হবে তোমায়। অনেক ভালবাসা। যা বানিয়েছ, তা মারাত্মক।” শুধু তারকারাই নয়, প্রথম টিজারে অঙ্কুশ ও তাঁর টিম মন জয় করেছে সাধারণের।
এর আগে গতকাল রাতেই আরও এক পোস্ট করেছিলেন অঙ্কুশ। তিনি লিখেছিলেন, “জীবনের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজটা দেওয়ার জন্য বিগত বেশ কিছু দিন ধরে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছি। ঘুমতে যাচ্ছি। ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম সেট করা আছে। আশা করছি তোমাদের মহালয়া সুন্দর করে তুলতে পারব। বাংলা কমার্শিয়াল ছবির জন্য সবাই মিলে উৎসাহ দিও।” প্রথম পরীক্ষায় পাশ করেছেন অঙ্কুশ। গোটা ছবি সবার কেমন লাগে এখন সেটাই দেখার।