অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra) প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন গত সেপ্টেম্বরেই। ধুমধাম করে ঘোষণা করেছিলেন প্রথম ছবির খবর। ছবির নাম ‘মির্জা’। ছবিটিতে অভিনয় করার কথা ছিল অঙ্কুশের নিজেরও। শোনা যাচ্ছিল বিপরীতে থাকতেন পারেন তাঁর প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা। তবে শুরুতেই বাধা। অঙ্কুশের প্রযোজনা সংস্থা ও রক্তিম চট্টোপাধ্যায়ের নেক্সজেন মিলে ওই ছবি প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত নিলেও অঙ্কুশ জানিয়েছেন আর কোনওদিনও ওই সংস্থার সঙ্গে তিনি কাজ করবেন না। এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন তিনি। অঙ্কুশের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লেখা হয়, “আমারদের প্রিয় দর্শকের উদ্দেশে এই বিশেষ ঘোষণা অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার ও নেক্সজেন ভেঞ্চার-এর সঙ্গে আলাদা হওয়াত্র ও ভবিষ্যতে আর কোনওভাবেই একত্রিত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
জানা যাচ্ছে, সৃজনশীল বিরোধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ‘মির্জা’র ভবিষ্যৎ কী হবে? ২০২৩-এর ইদেই ওই ছবি মুক্তির ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজক-অভিনেতা। অঙ্কুশ আরও জানিয়েছেন, মির্জা মুক্তি পাবে। তগবে আপাতত ইদ রিলিজ হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “মির্জাকে আরও বড় ও ভাল করার উদ্দেশে বেশ কিছু পরিবর্তন আমরা করতে চলেছি। … শুটিং শেষ করতেও একটা দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” তাঁর অনুরোধ সিনেপ্রেমীরা যেন ছবিটির জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করেন।
‘মির্জা’ ছবিটি কার্যতই অঙ্কুশের ড্রিম প্রোজেক্ট। ছবি নিয়ে এর আগে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। প্রযোজক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমি নিজে যেটা ফেস করেছি, অঙ্কুশের নাচ-গান-ফাইট থাকলে দর্শক হলে যাবেন—এটাই লোকের ধারণা। বিষয়টা প্রযোজকদের মজ্জাগত হয়ে গিয়েছে। আমি যে অন্য কোনও চরিত্রেও পারফর্ম করতে পারি, সেটা কেউ আর ভাবতে পারে না। আমাকে সিরিয়াস চরিত্রেও ভাবতে পারে না। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে আমার নিজেকে আরও অন্যভাবে এক্সপ্লোর করতে ইচ্ছা করে। নিজে প্রযোজক হলে সেই ইচ্ছে পূরণ করতে পারব। নিজের মনের মতো সবটা করতে পারব। বাজেটেরও একটা ব্যাপার থাকে। বড় ছবি করার ইচ্ছে হলেও প্রযোজক পাওয়া যায় না। কেউ ইনভেস্ট করতে চায় না।” সূত্র জানাচ্ছে, ছবি নিয়ে অনেক বড় মাপের পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। আপাতত সে গুড়ে বালি। তবে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। ফিরবে ‘মির্জা’, কথা দিয়েছেন অঙ্কুশ হাজরা।