পুজোর মেজাজে ভাসছে এখন ৮ থেকে ৮০। গোটা শহর কলকাতা সেজে উঠেছে উৎসব মরসুমে। দিকে দিকে কেবল আলোর রোশনাই। কাজের মাঝে তাই পুজোর গন্ধ মেখে সেলিব্রেটিরাও নিজেদের মতো করে সেলিব্রেশনে ব্যস্ত। পুজো আসলে সেলিব্রিটিদের কাজ অনেকটাই বেড়ে যায়। শুটিং শেষ করা, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের অংশ হয়ে ওঠা, বিভিন্ন মন্ডপে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত হওয়ার ডাক পাওয়া, এসব চলতেই থাকে। তারই মাঝে খানিকটা নিজের মতো করে সময় কাটানো। সম্প্রতি একগুচ্ছ শুটিং সিডিউল শেষ করে এবার অপরাজিতা আঢ্য নিজের পাড়ার পুজো নিয়ে খানিকটা ব্যস্ত। বেহালা অঞ্চলে তাঁর বাড়ির পাড়ার পুজো শুরু করেছিলেন তিনি ও তাঁর কিছু বন্ধুরা মিলে।
দেখতে দেখতে সেই পুজো অনেক বছরই হয়ে গেল। এবার সেই মণ্ডপই ঘুরিয়ে দেখালেন তিনি। চলছে পুরোদমে কাজ, এবারের বিষয় কী, কীভাবে সেজে উঠেছে মন্ডপ সেখানে কী কী বিশেষ আয়োজন, সবটাই দর্শকদের দেখালেন তিনি। অপরাজিতার কথায়, ”সহজপাঠ তৈরির পিছনে মূল উদ্দেশ্যই ছিল, যাতে পাঠ্য পুস্তক ভাল লাগে। যখনই আমরা কিছু বানাই, আমরা কিছু সৃষ্টি করি, সেটা যদি ছবির আকারে দেখতে পাই, যেমন আমরা স্ক্রিপ্ট পড়ি, তখন আমরা সিনেমাটা যেন চোখের সামনে দেখতে পাই। তেমন এক্ষেত্রেও মানুষ যাতে ছবিটা দেখতে পারে, ছবিটা দেখে শিখতে পারে, সেই চেষ্টা। কারণ তখন তো এমন শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, ছয় বছরের শিশুটা এটা পড়বে, তখন যে কোনও বয়সের মানুষেরাই পড়াশুনা শুরু করত সহজপাঠ দিয়ে। সুতরাং তাঁদের সুবিধার্থে, তাঁদের যাঁতে বুঝতে সুবিধে হয়, সেই জন্য নন্দলাল বসু এই সব ছবি তৈরি করেছিলেন। এখানে সেই ছবিগুলোই তুলে ধরা হয়েছে। এই মণ্ডপ যিনি সাজিয়েছেন তিনি হলেন শিল্পী রাজু, তাঁর কাজ আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এখনও আল্পনা দেওয়ার কাজ চলছে। এখানে কবিগুরুর ছবিও রয়েছে।”
এরপর তিনি সমস্ত সহজপাঠের ছবি ঘুরে দেখালেন। তাঁর কথা, প্রতিবার তাঁর সঙ্গে শিল্পীদের বচসা লেগে যায়, যে তাঁর ভাল লাগছে না…। তবে এবার মণ্ডপ তাঁর মনের মতো হয়েছে বলেই জানালেন। সহজপাঠের চার অধ্যায়ের সমস্ত ছবি এখানে রয়েছে।