আদরের ডুগডুগি। আর সঙ্গে ডুগডুগির আদরের মাম্মা। দুজনে একসঙ্গে থাকা মানেই আনন্দে সময় কাটে। মাম্মা অর্থাৎ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। বহু দিন ধরেই সোশ্যাল ওয়ালে ডুগডুগির ছবি শেয়ার করেন তিনি। এই শিশু অভিনেত্রীর বড় আদরের।
আসলে ডুগডুগির মা অপরাজিতাকে মায়ের আসনে বসিয়েছেন। অপরাজিতাও মাতৃস্নেহ দিয়েছেন তাঁকে। সে কারণেই ডুগডুগির সঙ্গে অপরাজিতার বন্ডিং একেবারে অন্যরকম। হাসিমুকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজ দিয়েছে ডুগডুগিও। অপরাজিতা সঙ্গ যে এই শিশু পছন্দ করে, তা ছবিতেই স্পষ্ট।
গত কয়েকদিনে পারিবারিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেন অপরাজিতা। অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। সে সব সামলে কাজে ফিরতে পারা নিঃসন্দেহে ভাল লাগার বিষয়। মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনায় একটি ছবি দিয়েই ৭০ দিন বাড়ি থাকার পর ফের শুটিংয়ে ফেরেন তিনি। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনুরাগীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন। ভবিষ্যতেও সেই আশীর্বাদের দাবি জানিয়েছেন অপরাজিতা।
কিছুদিন আগেই বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন অপরাজিতা। করোনা পরিস্থিতিতে বড় কোনও আয়োজন নয়। বাড়িতেই কেক কেটে এই বিশেষ দিন সেলিব্রেট করলেন অপরাজিতা। অগস্ট অপরাজিতার কাছে বিশেষ একটি মাস। এর আগে বহু আলাপচারিতায় অপরাজিতা জানিয়েছেন, বেশ অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন। ফলে তাঁর বেড়ে ওঠা পুরোটাই শ্বশুরবাড়িতে। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংসার তাঁর। কেরিয়ারের এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেললেন। শাশুড়ি মা তাঁকে আজও মেয়ের মতোই আগলে রাখেন। অপরাজিতা হাসতে হাসতে জানান, তাঁর নিজের মা নাকি বেশ কড়া ধাতের মানুষ। ফলে সব আবদার আজও শাশুড়ি মায়ের কাছেই। দিন কয়েক আগেই শ্বশুরমশাইকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। সে কারণেই বিবাহবার্ষিকী নিজেদের মতো করে সেলিব্রেট করলেন তিনি।
সকলকে নিয়ে থাকতে ভালবাসেন অপরাজিতা। বাড়ির পুজো, কারও জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর মতো অনুষ্ঠানে পরিবারের পাশাপাশি তাঁর অন্যান্য ভালবাসার মানুষরাও উপস্থিত থাকেন। রক্তের সম্পর্ক অভিনেত্রীর কাছে কখনও বড় কথা নয়। এই স্বভাবের জন্যই আত্মীয়, অনাত্মীয় সকলেই তাঁকে এতটা ভালবাসেন।
আরও পড়ুন, ইমন চক্রবর্তীর ক্রাশ কে? ছবি শেয়ার করলেন গায়িকা স্বয়ং!