Chanchal Chowdhury: ঝলক পাওয়া গেল চঞ্চলের প্রস্তুতির; বাবার পাশেই অভিনেতা রেখেছেন মৃণালকে
Mrinal Sen: সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় পরিচালিত 'পদাতিক' ছবিতে মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। ছবিটি মৃণালেরই বায়োপিক।
বাবাকে হারিয়েছেন দিন কয়েক আগেই। বাংলাদেশে সম্পন্ন হয় বাবার শেষকৃত্য। হৃদয় নিংড়ানো পোস্টে বাবাকে নিয়ে বেশকিছু মূল্যবান কথা লিখেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (ঘটনাচক্রে তিনি এবার বাংলাতেই এখন বেশ জনপ্রিয়)। তারপর জানা যায়, তিনি অভিনয় করছেন বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’-এ। ছবির লুকও বেরিয়েছে। সেখানে তাঁকে অবিকল দেখতে লাগছে মৃণাল সেনের মতোই। কি চমৎকার মিল তাঁদের! এবং মিলিয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু। এই মুহূর্তে মৃণাল সেনের এই বিয়োপিকের কাজেই ব্যস্ত আছেন চঞ্চল। মঙ্গলবার চঞ্চল শেয়ার করেছেন একটি ছবি, যেখানে পাশাপাশি রয়েছেন তাঁর বাবার ফটো এবং মৃণাল সেনের ফটো। বোঝাই যাচ্ছে, একদিকে যেমন পিতৃতুল্য মৃণালের প্রতি প্রকাশ পাচ্ছে অভিনেতার শ্রদ্ধা, অন্যদিকে বাবার কাছে তিনি আশীর্বাদ চাইছেন এই কালজয়ী চরিত্রে অভিনয় করার আগে।
বাবার মৃত্যুর আগে যে হৃদয় নিংড়ানো পোস্ট চঞ্চল লিখেছিলেন, তাতে ছিল:
“২৭ ডিসেম্বর রাতে, বাবা আমাদের সকলের মায়া-মমতা ত্যাগ করে, ইহলোক ত্যাগ করে, চলে গেল পরলোকে। গতকাল নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাবা মিশে গেল এই গ্রামেরই আলো-বাতাসে,পদ্মার জলে। সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার শেষে যখন নদীর পাড় থেকে বাড়ি ফিরলাম, তখন ভুলেই গেছিলাম যে, বাবাকেই তো নদীর পাড়ে রেখে এসেছি। সারারাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি।
সারা বাড়িময়, ঘরময় যেন বাবা গুটি-গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে।
এই বুঝি কখন আমায় ডাক দিয়ে বলবে, ‘চঞ্চল…বাবা ঘুমাইছ?’ বাবার কোনও কথা আর কোনও দিনও কানে বাঁজবে না। বাবাকে দেখতে পাব না, এগুলো কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
যখন এই কথাগুলো লিখছি, শীতের এই সকালে, বাবার শালটাই আমার শরীরে জড়ানো। যে জায়গায় রোদে বসে আছি, এ জায়গায় বসেই বাবা রোদ পোহাত। রোদের উষ্ণতা নয়। বাবার শরীরের কোমল উষ্ণতা খুঁজে ফিরছি এখন। বাকি জীবনটা হয়তো এভাবেই খুঁজতে হবে।”
বাবার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন চঞ্চল। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াই বলে দেয় সেই কথা। প্রোফাইল পিকচারেও তিনি রেখেছেন বাবাকেই। ওপার বাংলার মতো এপার বাংলাতেও চঞ্চল নিজের অভিনয়ের সাক্ষর রেখেছেন। এখানকার বাঙালিও দেখেছেন তাঁর দুটি কাজ – একটি ‘কারাগার’, অন্যটি ‘হাওয়া’। এবার আরও একটি কাজ দেখবেন দর্শক, সেটির নাম ‘পদাতিক’। এর জন্য বাবা তাঁকে নিশ্চয়ই আশীর্বাদ করবেন।