‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত – নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় জুটি। উত্তর-সুচিত্রার পরই বাঙালি যে জুটির নাম করেন, তা হল প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। এবার তাঁরা বিয়ে করতে চলেছেন। বিয়ের তারিখ নিয়ে ঋতুপর্ণার সঙ্গে আলোচনাও করতে চাইছেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু তারপর যা হল! বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতে ঋতুপর্ণাকে ‘ঋতু, ঋতু’ বলে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন প্রসেনজিৎ। বিয়ের তারিখ নিয়ে আলোচনা করত গেলেই ঋতুপর্ণা বলেন, ‘কী যে বলো, ছেলে বড় হচ্ছে না!’ ভিডিয়ো চলতে-চলতে তারপর দু’বার বাফারিং হয়েছে। জানা যায়নি ঠিক মতো…
ভাবছেন, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই দুই স্তম্ভ, তথা জনপ্রিয় জুটি সত্যি-সত্যি বিয়ে করছেন? বিষয়টা যা ভাবছেন, তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। এটা প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার কেরিয়ারের জুটি হিসেবে ৪৯তম ছবি। আজ্ঞে, ছবি। যে ছবির নাম ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’। তবে সেই ছবি কবে রিলিজ় করছে, তা জানা যাবে সম্প্রতি। ঋতুপর্ণার সঙ্গে জুটি হিসেবে অর্ধশততম ছবি করার দিন যত এগোচ্ছে, প্রসেনজিৎ ততই খুঁতখুঁতে হয়ে উঠছেন। ৪৭তম ছবিটি ছিল ‘প্রাক্তন’। দারুণ জনপ্রিয় ও সমালোচিত ছবি। ৪৮তম ছবিটি ছিল ‘দৃষ্টিকোণ’। এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, ঋতুপর্ণার সঙ্গে জুটি হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে ৫০ নম্বরের দিকে যত এগোচ্ছেন, ততই রয়েসয়ে খেলছেন তিনি। হচ্ছেও তাই। না হলে প্রোমোশনাল ভিডিয়োতে রহস্য তৈরি করতে ‘বাফারিং’ রাখা হয়।
ছবির পরিচালক সম্রাট শর্মা TV9 বাংলাকে বলেছেন, “দর্শকের মনে আগ্রহ তৈরি করার জন্য ইচ্ছে করেই দু’জায়গায় বাফার রাখা হয়েছে। বারবার আটকে যাচ্ছে ভিডিয়ো। যেখানে বুম্বাদা (পড়ুন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) চমকের কথা বলছেন।”
ভানু গোয়েন্দা ও জহর অ্যাসিস্ট্যান্টের নামে ছবির নামকরণ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাঁরা রোম্যান্টিক জুটি ছিলেন না। পরিচালক TV9 বাংলাকে বলেছেন, “এর আগে কোনও জনপ্রিয় অনস্ক্রিন রোম্যান্টিক জুটির নাম নিয়ে ছবির নামকরণ হয়নি। সেটা এই ছবির ক্ষেত্রে ইউনিক ব্যাপার। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার নাম নেওয়া হয়েছে এখানে। ছবিতে প্রসেনজিৎকে দেখা যাবে প্রসেনজিতের চরিত্রে। এবং ঋতুপর্ণাকে ঋতুপর্ণার চরিত্রে। ”
৩-৪ মাস আগে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঋতুপর্ণা এবং প্রসেনজিৎ শুটিং করেছিলেন এই ছবির। আরও অনেকে আছেন ছবিতে, কিন্তু সবটাই এখন বড় রহস্য।