নিয়মিত বাংলা সিনেমা-সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে হাস্য় কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি। অল্পসময়ের মধ্যেই কমেডি চরিত্রাভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তবে শুভাশিসকে অন্যান্য চরিত্রেও দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে খলনায়ক এবং গুরুগম্ভীর চরিত্রেও। নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় তৈরি ‘হারবার্ট’ ছবিতে বড় বয়সের হারবার্টের চরিত্রে শুভাশিসের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এখনও প্যারালল ছবির দর্শক শুভাশিসকে মনে রেখে দিয়েছেন সেই চরিত্রটির জন্যে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্রে ‘মহালয়া’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শুভাশিস। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিতে ‘খারাপ এবং রক্ষণশীল’ পুরোহিতের চরিত্র করেছিলেন অভিনেতা। সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘প্রফেসর শঙ্কু’ ছবিতেও বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শুভাশিসকে। বছর খানেক আগে দাগ কাটার মতো অভিনয় করেছিলেন ‘জড়োয়ার ঝুমকো’ ধারাবাহিকেও। কিন্তু ইদানিং হাতে কোনও কাজ নেই শুভাশিসের। কেন নেই? TV9 বাংলা শুনল অভিনেতার মুখ থেকেই।
মাস দেড়েক আগে জ়ি বাংলার ‘মুকুট’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন শুভাশিস। সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর আর কাজ পাননি অভিনেতা। তাই চুটিয়ে থিয়েটার করছেন আপাতত। পরপর শো রয়েছে। কিন্তু থিয়েটার তো মনের খিদে মেটায়। শুভাশিস বলেছেন, “কেউ যদি আমাকে ডাকে, তবেই সিরিয়ালে অভিনয় করব কিংবা সিনেমায় কাজ করব।” তবে সেই ডাক পেতে যদি অনেক সময় লাগে তাতেও অসুবিধা নেই বলে জানালেন শুভাশিস। ক্ষোভ হবে না। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, “রাগ কেন হবে?” তারপর ইন্ডাস্ট্রির চিরাচরিত অলিখিত নিয়ম সম্পর্কে বললেন শুভাশিস, “এটাই তো নিয়ম। আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি এভাবেই তো চলে। এটাই ধারা। এটা মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে আমাদের। না মানলে আমার নিজেরই অশান্তি।”
ইন্ডাস্ট্রির নিপাট সাদামাটা মানুষ শুভাশিস। সাতে পাঁচে থাকেন না। সাধারণ জীবনযাপন করেন। বিলাশবৈভবের লেশমাত্র নেই অভিনেতার জীবনে। নিজের কাজটুকুর প্রতিই তাঁর যাবতীয় মনযোগ। বলেছেন, “এই বয়সে এসে আমি কাজ চাইতে পারব না। সকলেই আমার কাজ সম্পর্কে জানেন। আমি নিজে গিয়ে দাঁড়াতে পারব না কারওর সামনে…”।