১৯৯০ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম হয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের। আজ ৮ জানুয়ারি। ৩৩ বছর বয়সে পা দিলেন নুসরত। মাঝরাতে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। সেই ভিডিয়োতে বিছানায় কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায় নুসরতকে। একটি হাত এগিয়ে আসে তাঁর দিকে। তারপর?
তারপর আরকী। একটি হাত ঠিক নয়, আসলে মোমবাতি বসানো একটি চকোলেট কেক এগিয়ে আসে তাঁর দিকে। মুহূর্তের মধ্যে সেই মোমবাতি নিভিয়ে ফের শুয়ে পড়েন নুসরত।
জীবনে নানা ওঠাপড়া দেখেছেন নুসরত। ২০১০ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। মডেলিংয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। ২০১১ সালে ‘শত্রু’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ। সেই সময় ভবানীপুর কলেজে পড়তেন। অভিনেতা-প্রযোজক জিতের বিপরীতে কাজ করেন তিনি। তারপর অভিনেতা-সাংসদ দেবের বিপরীতে তাঁকে কাস্ট করা হয় ‘খোকা ৪২০’ ছবিতে। পরপর আসতে থাকে ছবির অফার। ‘খিলাড়ি’, ‘যোদ্ধা: দ্য ওয়ারিয়ার’, ‘জামাই ৪২০’, ‘হরহর ব্যোমকেশ’, ‘পাওয়ার’-এর মতো কর্মাশিয়াল ছবিতে নুসরত পরিচিত নাম।
২০১৯ সালে মোড় ঘুরে যায় নুসরতের কেরিয়ারের। বসিরহাটের সাংসদ হিসেবে বিপুল ভোটে যেতেন তিনি। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায়।
জীবনে প্রেম এসেছে একাধিকবার। কিন্তু তাঁর ব্যক্তি জীবন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্রথমে তুরস্কে কলকাতার ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিয়ে করেন। সেই বিয়েকে তিনি ভারতীয় আইন অনুযায়ী স্বীকৃতি দেননি। এক দিন হঠাৎই ঘোষণা করেন তিনি বিবাহিত নন। নিখিলের সঙ্গে কেবলই লিভ টুগেদার করেছেন। এদিকে সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় তিনি নিজেকে বিবাহিতার পরিচয়ই দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়। তারই মধ্যে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়। এবং তাঁরই সন্তানকে জন্ম দেন নুসরত। অভিনেত্রীর জীবন খোলা পাতার মতো। তাঁর অনুরাগী সংখ্যাও কম নয়। অনেকে তাঁকে ছকভাঙা আধুনিকার তকমা দিয়েছেন।