তিনি এখনও বিয়ে করেননি। নিজের দুনিয়াতেই থাকেন নিজের মতো করে। ছবির কাজ, সাংসদ হওয়ার গুরুদায়িত্ব পালন, সবই করেন। কিন্তু অনেকেই মনে করেন মিমি বড়ই একা। তিনি কি সত্যিই একা? মিমির চারপেয়ে সন্তানরা থাকেন তাঁর সঙ্গে, তাঁরই বাড়িতে। কিছুদিন আগে একটি সন্তানকে হারিয়েছেন। ভয়ানক ভেঙে পড়েছিলেন সেই থেকে। জলপাইগুড়ি থেকে আসা একটি মেয়ে কীভাবে কলকাতা শহরটাকে জয় করে নিতে পারে, তা মিমিকে না দেখলে ঠিক বোঝা যায় না। এক শ্রেণির বাঙালি শহুরে এবং শিক্ষিত দর্শকের কাছে এখনও তিনি ‘গানের ওপারে’ সিরিয়ালের সেই ‘পুপে’। কিছুদিন আগে নিজের জন্মদিন পালন করতে গিয়েছিলেন প্যারিস শহরে। বিমানে চেপে কলকাতায় ফেরার সময় তাঁর খাবারে পাওয়া যায় চুল। তা নিয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশও করেছেন অভিনেত্রী। এবার জানা যাচ্ছে, তিনি নাকি ভিগান (Vegan) হয়ে গিয়েছেন।
ভিগান বিষয়টা কেবল নিরামিষাশী নয়। অন্য প্রাণীর মাংস তো বটেই, দুধও কিংবা অন্যান্য পদার্থও মুখে চোলা যায় না। এমনকী, উল দিয়ে তৈরি জামা কাপড়, চামড়া দিয়ে তৈরির জিনিস, সিল্কের পোশাকও পরা যায় না। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মিমি এ সবই এখন ত্যাগ করেছেন। এর অন্যতম কারণ তিনি চারপেয়ে সন্তানদের মা এবং পশুপাখিদের দারুণ ভালবাসেন।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রযোজিত ‘গানের ওপারে’ সিরিয়ালে অভিনয়ের পর বড় পর্দায় ডেবিউ করেন মিমি। সেই ছবির নাম ছিল ‘বাপি বাড়ি যা’। নায়িকা দোলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিমি। নায়ক ছিলেন সেই ‘গানের ওপার’-এর গোরা অর্জুন চক্রবর্তী। তারপর থেকে একের পর-এক বাংলা ছবিতে অভিনয় করছেন মিমি। ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘প্রলয়’, ‘পোস্ত’, ‘ড্রাকুলা স্যার’, ‘মিনি’, ‘খেলা যখন’-এর মতো বাংলা ছবিতে অভিনয়ে নিজের সাক্ষর রেখেছেন মিমি।
২০১৯ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তৃণমূলের হয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন এবং বিপুল সংখ্য়ক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। সেই থেকে সাংসদ হওয়ার দায়িত্বও পাল করছেন পুরোদমে।