পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন যতই ঝড় আসুক না কেন পর্দায় তাঁর উপস্থিতি মানেই কোথাও গিয়ে গেন এক পলকে তাঁর হাসি মুখটা সকলের মন কেড়ে নেয়। ছোটপর্দা থেকে শুরু করে বড়পর্দা, একের পর এক ভাল চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই সেলেব। ২০২২-এ টনিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। বছর শেষে প্রজাপতি ছবিতেও ছিলেন তিনি। সেই ছবির প্রচারে এসে জি বাংলার দিদি নম্বর ১-এর সেটে ছবির শুটিং-এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ছবি নিয়ে সব থেকে বেশি উত্তেজনা ছিল তাঁর মিঠুন চক্রবর্তীকে পেয়ে। ছোট থেকে যাঁর ছবি দেখে বড় হয়ে ওঠা, তাঁদের প্রজন্মের কাছে মিঠুন চক্রবর্তী মানেই সুপারহিরো, তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার কথা ভেবেই যেন তিনি আপ্লুত ছিলেন।
পিঙ্কির কথায়, অদ্ভুত মানুষ মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর প্রতিটা পদে পদে জড়িয়ে থাকা নানা অধ্যায়ে যে মেয়েটির আবেগ জড়িয়ে, তাঁর সঙ্গে কতটা সহজেই যেন মিশে গিয়েছিলেন অভিনেতা। বড় স্টারেরা বোধহয় এমনই হয়। পিঙ্কির কথায়, ছোটবেলায় একবার তাঁর হাত ভেঙে যায়। কিন্তু সেদিনই মিঠুন চক্রবর্তীর ছবির টিকিট কাটা ছিল। সেই কারণেই তিনি তাঁর বাবাকে কিছুই জানতে দেননি। মুখ বুঁজে সহ্য করেছিলেন যন্ত্রণা। ছবি শেষ হতে মুখ খুলেছিলেন নিজের পরিস্থিতি নিয়ে।
পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি অভিনয় করে যখন জানাতে চাইতেন মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে কেমন হয়েছে, তিনি তাঁর মতামত দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতেন, তাঁর অভিনয়টা কেমন হয়েছে? পিঙ্কি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে? ভাবতেন এটা কেমন প্রশ্ন। একই চরিত্র মমতা শঙ্করেরও। তিনি জানান, অভিনয় দেখে মতামত দেওয়া মাত্রই মমতা শঙ্কর জানতে চাইতেন ‘আমারটা’! এভাবেই হইহই করে প্রজাপতির শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী।