টলিউডের অন্যতম জুটি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত ও অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। রিল লাইফের পাশাপাশি রিয়েল লাইফেও তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে দিব্যি রোম্যান্সে মত্ত। তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ এক কথায় সকলের বেশ পছন্দের। সিনেপাড়ার এই লাভবার্ড বর্তমানে খবরের শিরোনামে। না, কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সেভাবে চর্চা না হলেও বনি সেনগুপ্ত ইডি-র দফতর থেকে বারে বারে ডাক পাচ্ছেন। কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) টলিপাড়ায় ছিল নিত্য আনাগোনা, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের বিষয়টি ক্রমশ সামনে আসছে।
কুন্তলের টলি-যোগ শুধুমাত্র বনি সেনগুপ্তেই (Bonny Sengupta) সীমাবদ্ধ নয়। সূত্রের খবর, সিনেমা বানাতে আস্ত প্রোডাকশন হাউস খুলে ফেলেছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল। তাঁর প্রযোজনায় তৈরি একটি ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও। শুধু তাই নয়, বনির সঙ্গে প্রোডাকশন হাউস খোলার পরিকল্পনাও নাকি ছিল তাঁর। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, ব্যবহার হলে তা কার কার পকেটে গিয়েছে, সে সবই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
ফলে বনি সেনগুপ্তেপ কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। তবে কৌশানীর সঙ্গে তাঁর সহজ সম্পর্কের সমীকরমে এই সকল বচসা থেকে বহু দূরে। কৌশানীকে এই মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে তিনি বনির ব্যক্তিগত বিষয় তিনি খবর রাখেন না। এই সকল বিষয়গুলো দেখাশোনা করে থাকেন বনি সেনগুপ্তের মা। কৌশানী বরাবরই বেশ ঠোঁট কাটা স্বভাবের। বনি যেন কৌশানীর সামনে একে বারে চুপ। তবে এ কাহিনি বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কোনও অংশেই যুক্ত নয়। অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত শো অপুর সংসারে এসে বনি ও কৌশানী মন খুলে আড্ডায় মেতেছিলেন।
সেখানেই কথায় ছলে একটি প্রশ্ন করে বসেছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। জানতে চেয়েছিলেন কে বেশি জোরে নাক ডাকে, উত্তরে দুজনেই দুজনের দিকে আঙুল তোলেন। ব্যাস, তাতেই পর্দা ফাঁস। যখন কে বেশি জোরে নাক ডাকে, সেই প্রসঙ্গে দুজনার মধ্যে বচসা বর্তমান, ঠিক সেই সময়ই শাশ্বত জানতে চান, এই সিক্রেট তাঁরা কীভাবে জানলেন? অভিনেতা প্রশ্নটি করেছিলেন বনির উদ্দেশেই। ইঙ্গিত বুঝতে পেরে বনি কথা ঘুরিয়ে জানান, মেকআপ ভ্যানে ঘুমতে দেখেছেন তিনি। তবে সে উত্তর শুনতে নারাজ ছিলেন শাশ্বত। বনি-কৌশানী একে অন্যের হয়ে উত্তর দিতে গিয়েই গোপন রহস্য ফাঁস করে দেন। তবে কি শাশ্বত চাপা হাসিতে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে তাঁরা একসঙ্গে থাকেন, যা তিনি হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন? সবটা বুঝতে পেরে লজ্জায় মুখ ঢাকেন কৌশানী।