
নতুন অতিথির অপেক্ষায় কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। মা হতে চলেছে সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সব কিছু ঠিক থাকলে অপেক্ষা মাত্র আর কয়েক ঘণ্টার। গোটা প্রেগন্যান্সি পর্বে একদিকে যেমন ট্রোলিং সহ্য করেছেন তিনি, আবার অন্যদিকে তাঁর প্রতি সমর্থনের হাতও কিন্তু কম নয়। জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তের আগে ভার্চুয়ালিও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে রয়েছেন পরিচালক রাজর্ষি দেও। নুসরতের এই জার্নি তাঁর কাছে যেন এক অকালবোধনের গল্প।
ফেসবুকে নুসরতকে যেন খোলা চিঠি লিখেছেন রাজর্ষি। নুসরতের সন্তান মায়ের জন্য গর্ব করবে ভবিষ্যতে, এ কথাও পরিচালকের মনে হয়েছে। রাজর্ষি লিখেছেন, ‘একটা কথা বলতে বড়ো আনন্দ হচ্ছে। জানি এটা নিয়ে পরে গালাগাল দেবেন অনেকে কিন্তু তবুও বলব। আমার এই প্রিয় শহরে যেখানে মাঝে মাঝে চাঁদটাকে এতো কাছ থেকে দেখা যায়, মনে হয় এই বুঝি উবের ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে .. সেই শহরের এক যুবতী , অভিনেত্রী, এমপি এবং সংখ্যালঘু আজ একা ফ্ল্যাট থেকে নিছে নামলেন ,একা এসইউভির সামনের সিটে বসলেন এবং রওনা হলেন মা হবেন বলে , একা.. সব ট্রোল , মিম এর আজ হয়তো অবসান হবে.. আমার কাছে অনেকদিন পর একটা বড়ো অকাল বোধন এর গপ্পো এল.. এই মহিলার হাত ধরে। নুসরত আমার সঙ্গে আপনার একবারই দেখা হয়েছিল, কিন্তু আজ এটুকু বলি যে ছেলে হোক বা মেয়ে সে কিন্তু বড়ো হয়ে আজকের দিনের গপ্পোটা শুনে গর্ব করে বলবে “মেরে পাস মা হ্যায়..” সব ভালো হোক, শিগগিরই দেখা হচ্ছে ..।’
নুসরত যে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হবেন এ কথা আগে থেকেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু কখন, সে প্রশ্নই উঠে আসছিল বার বার। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, বুধবার সকালেই নাকি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গী নাকি যশ। ওদিকে গতকাল যশের দুপুর কেটেছে তাঁর আসন্ন ছবির শুভ মহরতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী বারেবারেই নাকি ফোন চেক করছিলেন অভিনেতা। তাঁর অপেক্ষায় বসেছিলেন কি কেউ?
সন্ধে নামতেই নুসরতের গাড়িতে দেখা যায় তাঁদের। তাঁদের অর্থাৎ যশ-নুসরতকে। না, সন্ধে বেলাতেই হাসপাতালে ভর্তি হননি তিনি। বেশ কিছুক্ষণ নিজেরা সময় কাটিয়ে নুসরতকে নিয়ে যশ চলে যান তাঁর বাড়িতে। সেখানে যশের মা থাকেন। শুভকাজে যাওয়ার আগে একবার সাক্ষাৎ? এ দিন নাকি মিষ্টিমুখ করেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নুসরত। হাজার হোক, শুভ কাজে যাচ্ছেন তিনি। রাত গভীর হল। যশকে সঙ্গী করে নুসরতের গাড়ি ছুটল শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে। পেছনে আরও এক গাড়ি। হাসপাতালে পৌঁছতেই নুসরতের গাড়ি যখন ঘিরে ধরেছেন ফোটোশিকারিরা, অপেক্ষা করছেন তাঁর একঝলক ফ্রেমবন্দি করার ঠিক তখনই অদ্ভুত এক কাণ্ড… ওই কালো কাচের গাড়ি থেকে নামলেন না নুসরত, নামলেন না যশও।
তাহলে? মনে করা হচ্ছে পাপারাৎজির থেকে নিজেদের আড়াল করতেই হাসপাতালের ব্যাক ডোর দিয়ে অন্য এক গাড়ি করে হাজির হয়েছিলেন ওঁরা। আজও প্রকাশ্যে ধরা দিলেন না ওঁরা। ঠিক যেমন গত কয়েক মাসে ধরা দিয়েও নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন যশরত। বৃহস্পতিবারই সম্ভবত মা হবেন তিনি। কেবিন নম্বর ৫১১-তেই নাকি রাত কেটেছে তাঁর।
আরও পড়ুন, নুসরতের জীবনের বিশেষ মুহূর্ত আসন্ন, কী করছেন বন্ধু মিমি?