New Bengali Film: সম্পর্ক নিয়ে নতুন বাংলা ছবি, অন্য ছবি থেকে কতখানি আলাদা এর কাহিনি?
'রিলেশনশিপ' ছবিটির মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক অন্যরকম তথ্যও উন্মোচিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্যাশনকেই প্রফেশন করেছেন পরিচালক সুরঞ্জন দে। বেশ কিছু শর্ট ফিল্মও তৈরি করেছেন। কিন্তু এবার তাঁর হাতে এসেছে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরির সুবর্ণ সুযোগ। তৃতীয় শর্ট ফিল্ম ‘আনলাকি শার্ট’ জনপ্রিয় হওয়ার পর শিকে ছিঁড়েছে। দেশ-বিদেশের মোট ৬’টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি। পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের ‘ফিলম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রমোশন কাউন্সিল’-এর ( এফটিপিসি) শংসাপত্রও। সেই সাফল্যের সূত্র ধরেই দক্ষিণ ভারতের প্রযোজনা সংস্থা ‘রিসার্চ মিডিয়া এন্টারটেনমেন্টস’ নিবেদন করছে তাঁর পরিচালনায় প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ‘রিলেশনশিপ’ ছবিটি।
সুরঞ্জনের ছবির প্রযোজকদ্বয় চৈতন্য জংগা এবং পিভিএস ভার্মা পকালপতি জানিয়েছেন, ‘রিলেশনশিপ’-এর কাহিনি এবং চিত্রনাট্য তাঁদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁরা ছবিটি প্রযোজনা করতে আগ্রহী হয়েছেন। তবে প্রেক্ষাগৃহে কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির আগে ছবিটিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানোর কথা ভেবেছেন নির্মাতারা।
সুরঞ্জন বলেছেন, “আমি সবসময়ই ভিন্নধর্মী বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি করতে আগ্রহী। আশা করি আমার এই ছবিটিও সামাজিক বার্তা দেবে। দর্শকের ভাল লাগবে আমার এই ছবি।”
ছবির গল্প, কী নিয়ে ছবি, সেই প্রসঙ্গেও পরিচালক সুরঞ্জন দে বলেছেন, “মানুষ বেশিটাই বাঁচে মনে-মনে। আর এই মনে-মনে বাঁচার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকে ‘সম্পর্ক’। যার সম্পর্কের বন্ধন যত সুদৃঢ়, তার মনুষ্যজীবন ততই সফল। কারণ, কোনও মানুষ একা ভালভাবে বাঁচতে পারে না। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, আমরা বোধহয় এক একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো রূপ নিচ্ছি। নিকট আত্মীয়, এমনকী একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও নানা কারণে দূরত্ব বাড়ছে ক্রমশ। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই বিচ্ছিন্নতা ও ব্যবধান কীভাবে কয়েকটি চরিত্রকে আলোড়িত করবে, প্রভাবিত করবে, তা নিয়েই ‘রিলেশনশিপ’।” ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ পরিচালকেরই।
ছবির কাহিনিতে কঠিন ও জটিল সত্যের সম্মুখে এসে দাঁড়াবেন কেন্দ্রীয় চরিত্ররা। ‘রিলেশনশিপ’ ছবিটির মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক অন্যরকম তথ্যও উন্মোচিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ছোট ও বড় ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন শিল্পীরা ‘রিলেশনশিপ’ ছবিটিতে অভিনয় করবেন। যেমন অঙ্কিতা মুখোপাধ্যায়, ঋদ্ধিবান বন্দ্যোপাধ্যায়, বনশ্রী দে, ডঃ ভানুভূষণ খাটুয়া এবং পরিচালক সুরঞ্জন দে নিজেও অভিনয় করবেন। এছাড়াও থাকছেন সৃজা মাইতি, বিশ্বজিৎ পাল, মণিময় সাহু, রোজ়ি পিয়ালি দাস, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌম্যদেব খাটুয়া, দেবলীনা খাটুয়া, সুপর্ণা ওঝা। পরিচালক সুরঞ্জন দে জানিয়েছেন, এখনও শিল্পী তালিকা সম্পূর্ণ হয়নি। দক্ষিণ ভারত এবং মুম্বইয়ের কিছু শিল্পীও অভিনয় করতে পারেন এই ছবিতে।
ছবিটির চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন আকাশদেব। বিশিষ্ট সন্তুর শিল্পী পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য এই ছবির সংগীত পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। গানে কণ্ঠ দেবেন মধুপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়। ইম্পা হাউসে অনুষ্ঠিত হয় ছবির মহরৎ। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কয়েকদিনের শুটিং হবে কলকাতার আশপাশের অঞ্চলে। এছাড়া, প্রযোজকদের ইচ্ছানুসারে দক্ষিণ ভারত, মুম্বই এবং গোয়া-য় শুটিং করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানিয়েছেন পরিচালক সুরঞ্জন দে।
আরও পড়ুন: Amir-Fatima: অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখকে কি সত্যি বিয়ে করে নিয়েছেন আমির?