নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার টলিউড যোগ। কুন্তল ঘোষের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের। অভিযোগ, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন হয়েছে বেশ কয়েক বার। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে তলবও করা হয় অভিনেতাকে। TV9 বাংলা বনির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁর মা পিয়া সেনগুপ্ত ও বাবা অনুপ সেনগুপ্ত দু’জনেই জানান, ইতিমধ্যেই ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পৌঁছে গিয়েছেন বনি। সত্যিই কি নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনওভাবে যুক্ত বনি? খতিয়ে দেখছে ইডি। এরই মধ্যে বনির নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানো নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া। প্রসঙ্গত, পিয়া তৃণমূলের মুখ ও একই সঙ্গে ইম্পার সভাপতিও।
TV9 বাংলাকে যা বললেন পিয়া…
পিয়া: কুন্তল এসেছিল বনির কাছে ছবি করাবে বলে। সেই কারণেই বনি ওর কাছ থেকে টাকা নেয় অ্যাডভান্স (অগ্রিম) হিসেবে। একবারই ওর সঙ্গে ব্যাঙ্ক লেনদেন হয়েছে। তবে নিজের অ্যাকাউন্টে নয় সে সময় ওর গাড়ির অ্যাকাউন্টেই টানা নেয় বনি। পরবর্তীতে কুন্তল ছবিটা করতে পারেনি। ও দিকে, বনির অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়ে যায়। কুন্তল ওকে (বনিকে) দিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০টা স্টেজ শো করিয়েছিল যাতে ওই অগ্রিম টাকার হিসেব মিটমাট (অ্যাডজাস্টেড) হয়ে যায়। এটা তো ২০১৭ সালের ব্যাপার। কে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, কে কার সঙ্গে যুক্ত, সেটা তো আমাদের জানার কথা নয়।
TV9: বনির সঙ্গে শেষ কবে কথা হয় কুন্তলের?
পিয়া: বহুদিন… বহুদিন… আগে। আমার তো মনে হয় গত এক বছর ওর সঙ্গে কথা হয়নি বনির।
TV9: ইডির তলব নিয়ে বনির কী প্রতিক্রিয়া?
পিয়া: ও যেটা সত্যি, সেটাই বলবে। ও একজন পারফর্মিং আর্টিস্ট। আর পাঁচজন প্রযোজক যেমন আসে, ঠিক তেমনই কুন্তলও ওর কাছে এসেছিল। ও ইডিকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
TV9: বনি কি এই মুহূর্তে ইডি অফিসে?
পিয়া: হ্যাঁ, আজই পৌঁছে গিয়েছে ও। ওকে নিয়ে যা রটছে, সব ভুল। বনি নির্দোষ। যদি টাকা নয়ছয় করারই হতো, তবে কি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করত? ব্ল্যাক মানি হলে কি কেউ তা করে? বনির যে দুর্নীতিতে কোনও যোগ নেই, সেটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অনেকেরই। সম্প্রতি এক পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তীর নামও উঠে এসেছে সেই তালিকায়। সূত্রের খবর, তাঁকেও শুক্রবার তলব করেছে ইডি। তাঁকে অবশ্য আগেই এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। চাকরি দেওয়ার নামে নাকি কোটি-কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। গোয়েন্দাদের দাবি, সেই বিপুল অঙ্কের টাকা কুন্তলের কাছ থেকে অনেকের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেই সব সূত্র খুঁজে বের করতেই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। তবে বনি সেনগুপ্তের আগে অন্য কোনও টলিউড অভিনেতার নাম জড়ায়নি কুন্তলের সঙ্গে। যদিও সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ইডির র্যাডারে নাম রয়েছে আরও বেশ কিছু নায়ক-নায়িকার। জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।