EXCLUSIVE Abhishek Chatterjee: এবার আকাশের তারা হয়ে জ্বলবেন প্রয়াত টলিউড-অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়

Abhishek Chattopadhyay: এই ঘটনায় দারুণ খুশি হয়েছেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা। মেয়ে সাইনাও খুব খুশি। এখন সে চাইলেই রাতের আকাশে বাবাকে খুঁজে পাবে। বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারবে। অভিষেক সেই দূর আকাশ থেকে মেয়ে ও স্ত্রীর উপর আশীর্বাদের হাত রাখতে পারবেন।

EXCLUSIVE Abhishek Chatterjee: এবার আকাশের তারা হয়ে জ্বলবেন প্রয়াত টলিউড-অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়
অভিষেকের নামে তারার নামকরণ।
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2022 | 11:34 PM

“আমি মারা গেলে আমার নামে একটা তারা বানিয়ে দেবে সৌমেনদা”, নিজের শেষ অভিনীত ছবি ‘পঞ্চভূজ’-এর প্রযোজককে এই প্রশ্নটাই করেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ মৃত্যু হয় অভিষেকের। মৃত নায়কের স্মরণে শেষমেশ সত্যিই এবার মহাকাশের এক তারার নামকরণে উদ্যোগী হয়েছেন প্রযোজক সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র সৌজন্যে মৃত টলিউড নায়কের নামে হয়েছে তারার নামকরণ। TV9 বাংলাকে বিশদে একান্তভাবে জানিয়েছেন সৌমেন চট্টোপাধ্যায়।

মানুষ মারা গেলে নাকি তারা হয়ে যায়। এই কথা ছোটবেলায় অনেকবার শুনেছি আমরা। অনেকে এখনও আকাশের তারা মধ্যে খুঁজতে থাকেন তাঁর বাবা, মা, প্রিয়জনদের। অনেকে সত্যিটা মেনে নিয়ে চলে, যে মেরে গেলে শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে যায় ও পার্থিব শরীর আগুনে (হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী) পুড়ে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অভিষেকও চলে গিয়েছে সকলকে ছেড়ে। তাঁর মেয়ে ডল (পড়ুন সাইনা) আকাশে বাবাকে হয়তো খোঁজার চেষ্টাও করে। স্ত্রী সংযুক্তা বারবারই তাঁর স্বামীর উপস্থিতি টের পাচ্ছেন। এবার সত্যি-সত্যি আকাশের একটি তারার মধ্যে বাবাকে খুঁজে পাবে ডল। সংযুক্তা সেই তারার সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প করবে। সেই তাঁদের সেই প্রিয় মানুষটা।

কেমন সেই তারা, দেখুন…

সৌমেনবাবু যে তথ্য দিয়েছেন, তা থেকে জানা যায়, মোনোসেরস (monoceros) বা ইউনিকর্ন নক্ষত্রপুঞ্জের তারার নামে নামকরণ হয়েছে অভিষেকের। ইউনিকর্ন—সেই এক সিংওয়ালা ঘোড়া, যার কান্নায় সকলের দুঃখ দূর হয়ে যায়। তারাটির বিশালতা (ম্যাগনিটিউড) ১৬.৪৪ ম্যাগ। -৫.৫২৮৫ ডিগ্রি ডেক্লিনেশন (declination) এবং ৭ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ৫৪.০২এস-এ (রাইট অ্যাসেশন) অবস্থান করছে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ থেকে তারাটি নাম হয়েছে ‘অভিষেক চট্টোপাধ্যায়’। তারাটি সব সময় তার উজ্জ্বলতা দিতে থাকবে স্ত্রী সংযুক্তা ও কন্যা সাইনাকে (ডল)।

TV9 বাংলাকে সৌমেনবাবু বলেছেন, “আমার বাবা মায়ের নামেও তারা আছে আকাশে। সেই তারার নাম তাপসী-সন্তোষ। এই ব্যাপারটা অভিষেক শুনে বলেছিল, সৌমেনদা আমি চলে গেলে আমার নামে একটা তারা করে দেবে। আমি নিজে ক্যান্সারের রোগী। ওঁর মুখে সেই কথাটা শুনেছিলাম সেদিন। ওঁ চলে গেল আমার আগে। কিছুতেই ভুলতে পারি না জানেন। ওঁর মতো একজন মানুষকে ঈশ্বর আমার আগে নিয়ে নিলেন! আমি অভিষেকের ইচ্ছেটা রাখতে পেরেছি মাত্র। আজ সত্যিই ওঁর নামে একটা তারা আছে আকাশে। কেবল বাংলাতে নয়, গোটা দেশের মধ্যে অভিষেকই প্রথম অভিনেতা যাঁর নামে তারা আছে ব্রহ্মাণ্ডে। মুম্বইয়ে নেই, হলিউডেও হয়তো নেই। আমাদের তো কত তারা আছেন—সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, কে এই উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের নামে তারার নামকরণ করেছে বলুন তো।”

এই ঘটনায় দারুণ খুশি হয়েছেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা। মেয়ে সাইনাও খুব খুশি। এখন সে চাইলেই রাতের আকাশে বাবাকে খুঁজে পাবে। বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারবে। অভিষেক সেই দূর আকাশ থেকে মেয়ে ও স্ত্রীর উপর আশীর্বাদের হাত রাখতে পারবেন। স্বপ্নের মতো তাই না!