ছবি তৈরির ঘোষণা করেছিলেন অনেক আগেই। সেই ২০১৯ সালে। তারপর বিদ্যা বালন অভিনীত ‘শেরনি’ দেখে খানিক আশ্বস্ত হয়েছিলেন সৃজিত। জানিয়েছিলেন, জঙ্গল ও বাঘ গল্পর উপজীব্য হলেও তাঁর ‘শেরদিল’ ও বিদ্যার ‘শেরনি’ একেবারে অন্য ধরনের দু’টি গল্প। ‘শেরদিল’-এ অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। এটাই সৃজিত ও পঙ্কজের একসঙ্গে কাজ। অভিনেতার সঙ্গে কাজ করে দারুণ খুশি সৃজিত। পঙ্কজও তাই। এবার আরও একটি স্বপ্নপূরণ হল বাঙালি পরিচালকের। তাঁর এই ছবির জন্য টাইটেল গানটি লিখতে রাজি হয়েছেন স্বয়ং গুলজ়ার।
তাঁর সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বুকের মধ্যে কাঁপুনি নিয়ে আমরা তাঁকে ছবিটি পাঠিয়েছিলাম। গুলজ়ার জানিয়েছেন, তাঁর ভাল লেগেছে আমাদের ছবি। তিনি ছবিটির জন্য লিখতে রাজিও হয়েছেন। আশা ভোঁসলের পর আমার বাকেট লিস্টে ছিল গুলজ়ারের নাম। স্বপ্ন সত্যি হল এবার। ‘শেরদিল’-এর টাইটেল ট্র্যাক লিখছেন গুলজ়ার। আমি এবার শান্তিতে মরতে পারব।”
বাঘ, প্রকৃতি ও পঙ্কজ ত্রিপাঠী। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরবর্তী ও তৃতীয় বলিউড ছবির প্রধান উপজীব্য। উত্তরবঙ্গে চুটিয়ে শুটিং হয়েছে ছবির। ‘ও মাই গড’-এর সিক্যুয়েলের শুটিং শেষ করে ‘শেরদিল’-এর জন্য উত্তরবঙ্গে পদার্পণ করেছিলেন পঙ্কজ। গহন জঙ্গলে শুটিং চলেছিল কিছুদিন। বাঘ ও প্রকৃতিকে নিয়ে ছবি যখন, অরণ্য থাকবে না, তা কি হয়? শুটিংয়ের সেই অংশ শেষ করেই কলকাতায় চলে আসেন পঙ্কজ। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে দেখা যায় অভিনেত্রী সায়নী গুপ্তকেও। ছবিতে সায়নীও রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। আর রয়েছেন অভিনেতা নীরজ কবি। তাঁদের নিয়েই ‘শেরদিল’-এর গল্প বুনেছেন পরিচালক।
কলকাতায় ছবির শুটিং চলেছে দু’দিন। শুটিংয়ের জন্য উত্তর কলকাতা ও মধ্য কলকাতার একটি হোটেলকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। সৃজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পঙ্কজ বলেছেন, “দারুণ পরিচালক। ওঁ চরিত্রের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করতে পারে। আমি ওঁকে বিশ্বাস করি।” অন্যদিকে সৃজিত বলেছেন, “পঙ্কজের সঙ্গে কাজ করা মানে ৫০ শতাংশ কাজ হয়ে যাওয়া।”