কলকাতায় নন্দন চত্বরে আয়োজিত চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে আগমন ঘটেছিল মেজাবুর রহমান সুমন পরিচালিত ওপারের ছবি ‘হাওয়া’র (Hawa) । ঘণ্টার পর ঘণ্টার লাইনে দাঁড়িয়ে সে ছবি দেখেছিলেন কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলার সিনেপ্রেমী মানুষ। তবে অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়েও প্রেক্ষাগৃহ পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে প্রবেশ করতে পারেননি সিনেমা হলের অন্দরে। একরাশ ক্ষোভ আর মনখারাপ নিয়ে তাঁরা ফিরেছিলেন বাড়ি। অবশেষে সেই মন খারাপ দূর হতে চলেছে। এ রাজ্যেও মুক্তি পাচ্ছে ‘হাওয়া’। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে এই ছবি। এ দিন ছবিটির পরিবেশক সংস্থা রিলায়ান্সের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছবিটির সেন্সর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শংসাপত্র মেলেনি। ঠিক কতগুলো হলে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়েই চলছে আলোচনা। এই খবরে উচ্ছ্বসিত ছবির নায়ক চঞ্চল চৌধুরী। এ পারেও ‘হাওয়া’ মুক্তির খবর জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টও করেছেন তিনি।
এর আগে কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়ে টিভিনাইন বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন চঞ্চল। সেখানে ওই ছবি এ বাংলায় মুক্তি না পাওয়ার কারণে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা। অবশেষে সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে তাঁর। প্রসঙ্গত, বাংলা ছবির হাল মোটের উপর খারাপ। হাতেগোনা ছবি হিট হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে দু-তিনটে ছবি মুক্তি পেলেও তার বেশিরভাগই দেখতে দর্শক হলমুখো হচ্ছেন না। আখেরে ক্ষতি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির। ‘হাওয়া’ নিয়ে যে উত্তেজনা মানুষ তখন দেখিয়েছিলেন তাতে কিছুটা হলেও আশান্বিত হল মালিকেরাও। হলই বা অন্য দেশের ছবি, বাংলা ছবির দুর্দিনে যদি মানুষ এই ছবি দেখতেই হলমুখো হন তাতেই বা মন্দ কী?
তবে অনেকেই আবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। নন্দনে চলচ্চিত্র উৎসবে হওয়া ওই ছবিটি দেখতে কোনও প্রবেশমূল্য লাগেনি। অনেকেরই মতে সেই কারণের ভিড় হয়েছিল এত। বাংলা ছবি দেখতে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে মানুষ কি আদৌ প্রেক্ষাগৃহে আসবেন? জানা যাবে ডিসেম্বরের মাঝবরাবরই।