গত কয়েকদিন ধরেই পরিচালক তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের বেশ স্থিতিশীল ছিল। মাঝে মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে নানা খবর হাসপাতাল সূত্রে মিললেও, গত কয়েকদিনে সঙ্কট জনক অবস্থার মধ্যেই স্থিতিশীল ছিলেন তিনি। তবে রবিবার আবারও মিলল দুঃসংবাদ। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এদিন দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার ফলে ভেন্টিলেশনে দিতে হয় পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। এদিন সকালের পরই হঠাৎ অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করেন চিকিৎসকেরা। আচমকাই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পাশাপাশি এদিন ডয়ালিসিস করা হয় প্রবীণ পরিচালকের। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৩ এর কাছাকাছি চলে যায়। যার প্রভাব পড়েছে অন্যান্য অঙ্গের উপরেও।
চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানান, হঠাৎ-ই সেকেন্ডারি ইনফেকশন হওয়ায় পরিচালকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। গত শুক্রবার পর্যন্ত অবস্থা খানিকটা হলেও ভাল ছিল। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা সেদিনও যখন পরিচালককে দেখেছিলেন, তখনও তাঁর অবস্থা খানিক স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছিলেন। তবে শনিবার থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। শুক্রবার পরিচালকের এন্ডোসকপিও করা হয়েছিল বলে মেলে খবর।
প্রাথমিকভাবে কিডনির সমস্যা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরিচালক। কিডনির সমস্যা ছাড়াও পরিচালকের ফুসফুসে সমস্যা দেখা যায়।পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারিতে রেখেছে পরিচালককে। তাঁদের পরির্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত একদিনে পরিচালকের রক্তচাপ ছিল বেশ কম।