কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের পর বাংলার দ্বিতীয় ‘ফেলুদা’র নাম সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাঁর মতো মানুষ নাকি হয় না। কেবল প্রিয়জনেরা নন, ইন্ডাস্ট্রির সক্কলে একবাক্যে স্বীকার করেন সেই কথাই। তিনি অমায়িক, দয়ালু এবং স্পষ্টবাদী। বাম মনস্ক এক মানুষ। অভিনয়ের পাশাপাশি ওয়াইল্ড লাইফে আগ্রহ, বইপ্রেমীও। বিয়ে করেছিলেন যাঁকে, তিনিও একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী – মিঠু চক্রবর্তী। এই মিঠু কিন্তু সব্যসাচীকে একটা সময় ‘মামা’ সম্বোধন করতেন। এবং অনেক ছোটবেলা থেকেই তাঁদের আলাপ।
অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী সম্পর্কে কোনও স্ক্যান্ডেল নেই ফিল্ম দুনিয়ায়। প্রেমঘটিত কোনও দুর্নামও নেই। সাধারণত বিখ্য়াতদের এমনটা হয়ে থাকে আরকী। সব্য়সাচী এ সবের ঊর্ধ্বে। একবার একটি টক শোয়ে এসে নিজে মুখে বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী মিঠুও। তাঁদের বিয়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছিলেন মিঠু। বলেছিলেন সব কথাই।
সেই টক শোয়ে এসে মিঠু তাঁর স্বামী সব্যসাচীর সামনেই বলেছিলেন, “এ রকম মানুষ এই দুনিয়ায় হয় না, এ কথা সত্যি।” তার আগে বর্ণনা করেছিলেন তাঁদের বিয়ের কিছু ঘটনা।
মিঠু চক্রবর্তীর বাবা ছিলেন ফাইটর পাইলট। আর্মি পরিবারের মেয়ে ছিলেন। অনেক রক্ষণশীলতায় বড় হয়েছিলেন। সব্যসাচীরা ছিলেন তাঁদের পরিবারের আত্মীয়। মায়ের তরফে অনেক-অনেক দূর সম্পর্কের ভাই। সেই সম্পর্কের সূত্রে সব্যসাচীকে ছোটবেলায় ‘মামা’ সম্বোধন করতেন মিঠু। তখন কার্নিশে টেপজামা পড়ে হাঁটতেন তিনি। সেই বাল্যকাল থেকে সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর আলাপ। পরবর্তীতে সেই আলাপ থেকেই বিয়ের ঘটকালি করে পরিবার। তাঁদের বিয়েটি কিন্তু অ্যারেঞ্জড।
বর্তমানে সাজানো সংসার সব্যসাচী-মিঠুর। তাঁদের দুই পুত্র গৌরব এবং অর্জুনও প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। তাঁদেরও বিয়ে হয়েছে এবং তাঁরাও নিজ-নিজ সংসারে ব্যস্ত।