Durga Puja 2022: করোনার ভয় নেই, মাস্কহীন দুর্গাপুজোয় ভাসছে শিশুশিল্পী উদিতা মুন্সী, সুন্দরবন যাওয়ার পথে TV9 বাংলার সঙ্গে আড্ডায়…
Udita Munshi: গতকালই (৩০.০৯.২০২২) মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি 'কাছের মানুষ'। খুদের নাম উদিতা মুন্সী।
স্নেহা সেনগুপ্ত
“ও.. আয় রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে। ঢ্যাম্ কুড়কুড়, ঢ্যাম্ কুড়াকুড় বাদ্যি বেজেছে।” – এই গান দিয়েই শুরু হোক এই প্রতিবেদন। কেন না, এই গান শুনলেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে – ছোট্ট-ছোট্ট খোকা-খুকিরা নতুন জামা পড়ে মহানন্দে ছুটে যাচ্ছে দুর্গা ঠাকুরের প্যান্ডেলে। তাদের সকলের মুখে হাসি। দারুণ আনন্দ। পুজোর চারটে দিনের দেদার মজার অপেক্ষায় যে খুদে প্রাণেরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকে, সেই মজা তাদের অনেকটাই ম্লান হয়েছিল বিগত দু’বছর। কারণ ছিল করোনার চোখ রাঙানি। বাড়ির বাইরে পা রাখলেই ভয় ছিল – এই বুঝি ধরল কোভিড-বুড়ো। কিন্তু এবার সে সব ভয়ডর নেই। এই পুজোটা তাই দারুণ আনন্দে কাটবে কচিকাচাদের। সে রকমই এক কচির মন পড়ার চেষ্টা করল TV9 বাংলা। এ কচি যে সে কচি নয়। গতকালই (৩০.০৯.২০২২) মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘কাছের মানুষ’। কচির নাম উদিতা মুন্সী।
২০১৩ সালে জন্ম হয় উদিতার। খুব ছোট বয়স থেকেই সে সিরিয়াল-সিনেমায় অভিনয় করে। তাঁকে চিনে গিয়েছে গোটা বাংলা। এখন নিয়মিত রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করে উদিতা। গতকালই মুক্তি পেয়েছে ‘কাছের মানুষ’। সেখানে ইশা সাহা অভিনীত চরিত্রের ছাত্রী হয়েছিল উদিতা। TV9 বাংলাকে সে বলেছে, “গতকালই তো আমার ছবি মুক্তি পেল ‘কাছের মানুষ’। আমি ইশাদিদির স্টুডেন্ট হয়েছিলাম। আমি দেবদাদার আগের ছবিতেও অভিনয় করেছি ‘কিশমিশ’-এ।” বাচ্চাদের মধ্যে দেব অত্যন্ত জনপ্রিয়। উদিতাও যে তাঁকে ভালবাসে, সেটাও ধরা পড়ল অনায়াসেই। বলল, “দেবদাদা খুব ভাল। ও কাকু না দাদাই।” সেই সঙ্গে এও বলল, “ইশাদিদি আর বুম্বা আঙ্কেলের সঙ্গেও কাজ করে আমার ভাল লেগেছে। আমরা সবাই অনেক গল্প করেছি।”
এ সবই উদিতা অনর্গল বলে চলেছিল লঞ্চে বসে। এবারের পুজোটা সে কাটাবে সুন্দরবনে। সেখানেই যাচ্ছে জলপথে লঞ্চে চেপে। সঙ্গী বাবা-মা। নবমীর রাতে ফিরে আসবে কলকাতায়। তারপর দশমী পালন করবে বাড়িতে, প্রিয়জনদের মাঝে। গত দু’বছর পুজোয় করোনার দাপট কেড়ে নিয়েছিল উদিতার মুখের হাসিও। খুদে তারকা বলেছে, “আগের দু’বছর তো কিছুই করতে পারিনি সে ভাবে। খালি মাস্ক পরে থাকতে হত। গত বছর রাচিতে কাকার বাড়িতে ছিলাম। এবার চলে এসেছি সুন্দরবনে। প্রতিবার এভাবেই পুজো কাটাই। আমার বাবা-মা ২০০৯ সাল থেকে পুজোতে কলকাতায় থাকে না। আমার জন্ম হয়েছে ২০১৩ সালে। আমিও তখন থেকেই বাইরে বেড়াতে চলে যাই বাবা-মায়ের সঙ্গে।”
করোনা পরবর্তী সময় সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বলে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে উদিতার মতো শিশুরা। সে জানিয়েছে, স্কুলেও যাচ্ছে। সেখানেও সবকিছু স্বাভাবিক। স্কুল তাকে সাপোর্ট করছে বলে খুশি উদিতা। ভবিষ্যতে লেখাপড়া ও কাজ দুটিই সমানভাবে করতে চায় সে।