প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব ও ঈশা অভিনীত ছবি ‘কাছের মানুষ’-এর ট্রেলার মুক্তি পেয়েছেন গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার। পুজোয় আসবে সেই ছবি। যে ছবি বাঁচতে শেখায়, বাঁচার কথা বলে তবে খানিক অন্য ধাঁচে। ট্রেলাফ মুক্তি পেতেই একদিকে যেমন প্রশংসা উপচে পড়ছে ঠিক তেমনই সমালোচনাও যে হয়নি এমনটা কিন্তু নয়। অনেকেই আবার এই ছবির দৃশ্যপট, চিত্রনাট্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত আর এক ছবির। যে ছবির পরিচালক ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবির নাম ‘হেমলক সোসাইটি’। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কোয়েল মল্লিক।
যদিও এই তত্ত্ব একেবারেই মানতে নারাজ ছবিটির চিত্রগ্রাহক মধুরা পালিত। রীতিমতো প্রতিবাদ করেছেন তিনি। কী বলেছেন মধুরা? ফেসবুকে জনৈক ব্যক্তির পোস্ট করেছিলেন, “হেমলক সোসাইটি ২.০ সিনেমার ট্রেলার দেখলাম, নামটা বদলে দিয়েছে”। আর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই মধুরা লেখেন, “ছবিটি দেখে জাজমেন্ট দিলে আরও ভাল হয়। বা ‘মনে হল’ এরকম একটা লিখলে বেশ ভাল হয়।” মধুরা জানিয়েছেন এক ছবি থেকে কিছুটা হলেও এই ছবিটি অনুপ্রাণিত। তবে তা যে হেমলক সোসাইটি নয় তা মনে করিয়ে দিয়েই মধুরা আরও লেখেন, “এমনিতেও ট্রেলারের শুরুতেই কোন ফিল্মকে ট্রিবিউট সেটা বলে দেওয়া আছে”..
এখানেই জানিয়ে রাখা যাক, ছবির ট্রেলার শুরু হয়েছে একটা পুরনো বাংলা সিনেমার একটি দৃশ্য দিয়ে। যেখানে বিকাশ রায় এবং অনুপ কুমার জীবন-মৃত্যুর কথা বলছেন। ছবিটি রাজেন তরফদার পরিচালিত ১৯৬৪ সালের ‘জীবন কাহিনি’ ছবির দৃশ্য সেটি। এর পরই শুরু ‘কাছের মানুষ’ ছবির গল্প বলা। মায়ের চিকিৎসার জন্য দেব একটা ডেথ বেনিফিট ইন্সোরেশন পলিসি করে। করায় প্রসেনজিৎ। এবার তাঁকে মরতে হবে। কিন্তু পারে না। জীবনে আসে ইশা। আর এরপরেই জীবন চলতে শুরু করে নানা পথে। ছবির পরিচালক পথিকৃৎ বসু। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, মহাষষ্ঠীর দিনে। সত্যিই কি হেমলকের ছোঁয়া নাকি তরতাজস গল্প নিয়েই কাছের মানুষদের সঙ্গে দর্শক উপভোগ করবেন ছবিটি, তা জানা যাবে আর প্রায় এক মাস পরে।