ভারত-বাংলাদেশ দুই সিনে-দুনিয়াতেই এক কথায় বলতে গেলে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছেন জয়া আহসান। একের পর এক বাঘা বাঘা ছবি তাঁর ঝুলিতে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্র নিজেরে ভেঙে গড়ে প্রমাণ করেছেন তিনি ঠিক কতটা সাবলীল তাঁর বড়পর্দায়। জয়া আহসান প্রথম থেকেই নিজের কাজ নিয়ে বেশ যত্নশীল। টলিউড হোক বা বাংলাদেশ, নিজের চরিত্রকে খুব যত্নের সঙ্গে পর্দায় ফুঁটিয়ে তুলে তিনি বারে বারে দর্শকদের মন জয় করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি ভীষণ সক্রিয়। মাঝে মধ্যেই ছবি পোস্ট করা থেকে শুরু করে নিজের কাজের আপডেট দিয়ে থাকেন তিনি। যা মুহূর্তে ভক্তদের নজর কাড়ে। আর এবার বোল্ড লুকে জয়া ধরা দিতেই ভক্তদের একেবারে চক্ষু চড়কগাছ। কমেন্ট বক্স ভরে উঠল নানা মন্তব্য়ে।
কেউ লিখলেন তিনি বলিউড অভিনেত্রীদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। কেউ আবার লিখলেন জয়ার যেন বয়সই হচ্ছে না। সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সম-আলোচনার ঝড়। একাংশের মত, বয়স হচ্ছে জয়ার, তাই শরীরে পড়চে তার ছাপ। অপর অংশ স্পষ্টই তাঁর প্রশংসা করে জানালেন বয়স গিয়েছে থমকে। ট্রোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও পিছপা হননি কেউ কেউ। লিখলেন খোলামেলা পোশাকে ভারতের অভিনেত্রীরা ছবি দিলে ভাল, বাংলাদেশের অভিনেত্রী বলেই কী এত কটাক্ষ!
যদিও জয়া আহসান এসব বিষয় খুব একটা মাথা ঘামাননা। কারণ ট্রোলিং হোক বা নেগেটিভিটি, সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমানে একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা কোথাও গিয়ে যেন গুরুত্ব হারাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। সেলেবরাই অধিকাংশ সময় বলে থাকেন, তাঁরা পাবলিক ফিগার, তাঁদের নিয়ে কথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ভাল খারাপ মিশিয়ে থাকা মন্তব্যের মধ্যে কেবল খারাপগুলোকে নিয়ে আঁখরে বড়ে থাকলে চলে না। বরং ভালগুলোকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জয়াও সেই দলেই পড়েন। বয়স সেলেবদের কাছে একটি সংখ্যা মাত্র, ক্যামেরার সামনে তাঁরা যে কোনও বয়সে যে কোনও চরিত্রে নিজেদের অনায়াসে মানিয়ে নিতে পারে। আর সেই সুবাদেই এবার বোল্ড জয়াও বিন্দুমাত্র পিছপা হলেন না তাঁর শরীরী উষ্ণতায় ভক্তদের নজর কাড়তে।