জিতু কামাল ও নবনীতা দাসের সম্পর্কটা এই মুহূর্তে কোন দিকে বাঁক নিচ্ছে, এ নিয়ে ভক্ত মহলে প্রশ্নের শেষ নেই। জিতুকে প্রথমাবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও যত দিন যাচ্ছে নবনীতার সম্পর্কেও প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য। নবনীতার বিশেষ বন্ধু স্নেহাল অধিকারীর নাম সামনে আসতেই ঘটনার মোড় ঘুরে গিয়েছে। এ সবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকাই এক উপলব্ধি জিতুর। পাঁচটা লাইন, ছোট্ট একটা কবিতা আর তাতেই তাঁকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় জিতুর ভক্তরা। জিতু লেখেন, “আমি ভাবুক, ইচ্ছুক নই/ আমি প্রেমিক, বিকৃত নই/ আমি চিন্তন, চিরন্তন নই/ আমি সৃষ্টিশীল, সৃষ্টিকর্তা নই আমি দোষারোপ, দোষী নই…।” তিনি দোষী নন, এ কথা নিজেই বারংবার বলে, কী বার্তা দিতে চাইছেন জিতু?
একদিকে যেমন এই প্রশ্নেই উত্তাল সোশ্যল মিডিয়া ঠিক একই সঙ্গে তাঁর মানসিক অবস্থা নিয়েও চিন্তায় তাঁর ভক্তরা। অনেকেরই সুপারিশ, ‘পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাও জিতু।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা সামাজিক মাধ্যমে প্রথমে জানান নবনীতাই। এর পরেই ঘটে যায় এক ঘটনা, সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে এমনটাই। ঘটনার দু-তিন দিন পরেই তারকেশ্বরের কাছে এক দামী গাড়ির মধ্যে নবনীতা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ‘আবিষ্কার’ করেন স্থানীয় মানুষ। পুল্রিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় বচসা। স্নেহাল অধিকারী নামক ওই বিশেষ বন্ধু নাকি পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করেন, অভিযোগ এমনটাই। পুলিশের সঙ্গে অসহযোগিতার কারণে স্নেহালের বিরুদ্ধে ২৯০ ধারায় মামলাও রুজু করা হয় বলে খবর। যদিও পরে ব্যাপারটি মিটমাট হয়ে যায় পরে। প্রশ্ন কে ওই স্নেহাল? নবনীতার সঙ্গে তাঁর ঠিক কী রকম সম্পর্ক? উল্লেখ্য, বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে এর আগে জিতুকে বহুবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি কিন্তু মুখ খোলেননি। বরং টিভিনাইন বাংলা প্রশ্ন করায় তিনি নবনীতাকে উদ্দেশ্য করে উত্তর দেন, “বাচ্চা মেয়ে, রাগ করেছে, ও কিছু না। সব ঠিক হয়ে যাবে।” সত্যিই কি সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে? নাকি সম্পর্ক জোড়া লাগবে না আর কোনওদিনই? প্রশ্ন হাজারও। উত্তর অজানা।