সমালোচনা থেকে শত হস্ত দূরেই থাকেন কোয়েল মল্লিক। তাঁর পোশাক ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চার বিষয়। ক্লিভেজ দেখা যায় কিংবা খোলামেলা পোশাকে ‘না’ তাঁর। এ হেন কোয়েল মল্লিককেই পোশাক নিয়ে পড়তে হল কটাক্ষের মুখে। যদিও কোয়েলও চুপ করে থাকলেন না। পাল্টা জবাব দিলেন তিনিও। কিছু দিন আগেই ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’র শুটিংয়ে দলমা পাহাড়ে গিয়েছিলেন কোয়েল। সেখানেই জঙ্গলের ভিতর হয়েছিল শুটিং। ঘন জঙ্গলের ভিতর পাহাড়ের ভিতর মন্দির দেখতে পেয়ে সেখানে হাজির হন কোয়েল। পরেছিলেন টি-শার্ট আর ঢিলেঢোলা এক প্যান্ট। মহাদেবের মূর্তিকে নতমস্তকে প্রণাম করে আশীর্বাদ চেয়ে নিতেও ভুল হয়নি তাঁর। সেই ভিডিয়োই শেয়ার করে কোয়েল লেখেন, “শুটের মধ্যে ভক্তিমূলক ভ্রমণ।” হ্যাশট্যাগে লেখেন, ঝাড়খন্ড ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। লাল মাটির দেশে কোনও এক অজানা মন্দিরে গিয়ে কোয়েল যখন উচ্ছ্বসিত ঠিক তখনই তাঁর উদ্দেশে আসে এক মন্তব্য।
এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী কোয়েলের পোশাক নিয়ে করে বসেন এক মন্তব্য। তিনি লেখেন, “একজন বাঙালি অথবা একজন হিন্দু হিসেবে মন্দিরে যাওয়ার সময় আমাদের শাড়ি অথবা সালোয়ার পরে যাওয়া উচিৎ। আমি আপনাকে বিচার করছি না। কিন্তু এটাই আমাদের সংস্কৃতি।” চুপ থাকেননি কোয়েল। মিষ্টি কথায় মোক্ষম জবাব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকেও। তিনি বলেন, “ভক্তি মনের ব্যাপার। পোশাকের নয়। আপনাকেও আমি বিচার করছি না।” কোয়েলের এই শেষ লাইনটাই যেন বোমা। বুঝিয়ে দেওয়া, ওই ব্যক্তি আদপে কোয়েলের পোশাক দিয়ে তাঁকে বিচারই করছিলেন।
কোয়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ভক্তরা। ওই ব্যক্তিকে তুলোধনা করে একজন লেখেন, “তাহলে কি বলতে চাইছেন, শাড়ি অথবা সালোয়ার না পরে গেলে ভগবান ভালবাসেন না? বা ধরুন বাড়িতে শাড়ি পরে নেই , কিন্তু কোনও বিপদে পড়ে ভগবানকে ডাকলাম তখন ভগবান সাড়া দেবেন না? এই যে সংস্কৃতির কথা বলছেন, এই সংস্কৃতির স্রষ্টা কে? আমরা মানুষেরা। ভগবান মনে আছে । তিনি সবার মধ্যে আছেন।” পোশাক নিয়ে অভিনেত্রীদের ট্রোলিং নতুন নয়, কিন্তু কোয়েলকেও যে শুনতে হবে এমন কথা, তা হয়তো নিজেই ভাবেননি নায়িকা। আপাতত তিনি ব্যস্ত কাজ নিয়ে। এই পুজোতেই মুক্তি পাবে তাঁর ‘মিতিনমাসি’।