এই কিছু দিন আগেও রাজনীতির ময়দানে তাঁরা ছিলেন প্রতিপক্ষ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে দিয়েছেন লম্বা-চওড়া ভাষণ। কিন্তু আজ তাঁরা আবার একই দলে।
কথা হচ্ছে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ মুকুল রায় এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের। ভোটে জিততে পারেননি তৃণমূলের কৌশানী। ওই কেন্দ্রে শেষ হাসি হেসেছেন ‘বিজেপি’র মুকুল। শুক্রবার মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে কৌশানী কী বলছেন? টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে।
তাঁর কথায়, “আফটার হল এটা রাজনীতি। একটা জল্পনা-কল্পনা তো চলছিলই। কৃষ্ণনগরে থেকে সবচেয়ে অবাক লেগেছিল একটা মানুষ কখনও বেরল না, কখনও প্রচার করল না, মানুষের কাছাকাছি এল না সে হঠাৎ জিতে গেল…তারপরেই মনে হয়েছিল তৃণমূলের এই যে এত আসন নিয়ে জয়, হয়তো উনি আবারও যোগ দিলেও দিতে পারেন। আজ দেখলাম সেটাই সত্যি হল। ”
তিনি যোগ করেন, “নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ। ছেলেকে সেফগার্ড করা…এগুলো তো চলছিলই। সো উই অল হ্যাভ টু ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ…”।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে থাকা যায় না, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল’, ‘নরমপন্থী’ মুকুলকে পেয়ে বললেন মমতা
২০১৭ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। ১১ জুন ২০২১ আবার সেই পুরনো দলে ফিরে এলেন তিনি। তাঁর যোগদান প্রসঙ্গে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেকে ভোটের সময় দলের সঙ্গে খুব গদ্দারি করছে। মুকুল কিন্তু ভোটের সময় একটি কথাও বলেনি দলের বিরুদ্ধে। যারা গদ্দারি করে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের আমরা নেব না।” যদিও মুকুল যে সেই ‘তালিকায়’ নন, সে কথা স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাটনি’ থেকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, কেমন কাটল মুকুলের ৪ বছরের পদ্মাবাস?