চোখের তলায় হালকা কালি পড়েছে। মুখে ক্লান্তির ছাপ। কিন্তু হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছে আনন্দের খবর। চেহারা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মা হতে চলেছেন তিনি। অর্থাৎ অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে। এ ছবি তাঁর রিল লাইফের। রিয়েল নয়। পাশে রয়েছেন অভিনেতা ওম। আসন্ন ছবি ‘লকডাউন’-এ প্রথমবার একজন সন্তানসম্ভবা মহিলার চরিত্রে মানালি অভিনয় করছেন।
‘লকডাউন’-এর পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত সম্পর্কে মানালি–অভিমন্যু দম্পতি। প্রথমবার এই ধরনের চরিত্রের বিষয়ে TV9 বাংলাকে মানালি বললেন, “লকডাউনের টানপোড়েন নিয়ে গল্প। আমার চরিত্রের নাম অনুরাধা। খুব ম্যাচিওর্ড ক্যারেক্টার। প্রেগন্যান্ট ক্যারেক্টার। আমি এই প্রথম এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছি। ওম রয়েছে আমার সঙ্গে। এ ছাড়াও সোহম, রাজনন্দিনী, শ্রাবন্তী এবং আদৃত রয়েছে। অনেক ওঠাপড়া রয়েছে গল্প জুড়ে। এখন এর থেকে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না।”
নিজের শরীরের অভ্যন্তরে আর একটা প্রাণকে বড় করে তোলার জার্নি যে কোনও মেয়ের কাছেই খুব ইমোশনাল। সেই ইমোশনকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? মানালি বললেন, “এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি পর্বের সম্পূর্ণ ক্রেডিট আমি অভিমন্যুকেই দেব। স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ে আমাকে আর ওমকে একসঙ্গে বসিয়ে ব্রিফ করেছিল। ফ্লোরেও ভাল করে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিল। আর আমি বিভিন্ন ছবিতে প্রেগন্যান্ট ক্যারেক্টারদের দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি। কারণ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় হাঁটা, বসা সব কিছুই তো অন্যরকম হয়। শুটিংয়ে নিজের শরীরের থেকে বাইরে একটা জিনিস ক্যারি করতে হয়েছিল আমাকে। ফলে সেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাডপ্ট করতে হয়েছিল।”
এর আগে অভিমন্যুর পরিচালনায় ‘নিমকি ফুলকি’র দুটো পার্টে অভিনয় করেছেন মানালি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও ফ্লোরে অভিমন্যু এবং মানালি পেশাদার। অভিনেত্রী আগেই শেয়ার করেছিলেন, “ফ্লোরে ও একদমই ডিরেক্টর। আমাকেও অন্য প্রজেক্টের মতোই প্রথমে গল্প বলা হয়েছিল, শুনেছি। একটু সময় নিয়েছি। তারপর কনফার্ম করেছি। অন্য আর্টিস্টদের মতে ট্রিট করেছে। ডিরেক্টর হিসেবে ট্রিট করেছে। এটুকু বলতে পারি, এটা আমার একদম অন্যরকমের কাজ।”
গত বছর মানালি এবং অভিমন্যুর জন্য একেবারে অন্য রকমের একটা সময় ছিল। লকডাউনের মধ্যেই ১৫ অগস্ট ২০২০ তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। ওই বছরই বড়পর্দায় অভিমন্যুর পরিচালনায় প্রথম অভিনয় করেন মানালি। বাড়ির বাইরেও লকডাউন-এর শুটিংয়ে একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল তাঁদের। বাড়ি ফিরেও কি ছবি নিয়ে আলোচনা হত? সে প্রসঙ্গে মানালি আগেই TV9 বাংলাকে বলেছিলেন, “আমি যে কাজে থাকি, সে কাজের আলোচনা অভি বাড়িতে করে না। কারণ শুটিংয়ের পরে কী হচ্ছে, বাকিরাও তো জানতে পারে না। যে কাজে থাকি না, তার আলোচনা তাও কখনও বাড়িতে হয়।”
গতকালই মুক্তি পেয়েছে শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, সুরে ইমন চক্রবর্তীর গাওয়া এই ছবির গান যারা তোমায় চেনে না ঠিক, তাদেরও যেন ভাল হয়। মানালি জানালেন, এখন নির্দিষ্ট দিন ঠিক না হলেও চলতি মাসেই মুক্তি পাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন, ‘তোমার কপালের শীতঘুমে’ শোভনকে ধন্যবাদ জানালেন ইমন
চোখের তলায় হালকা কালি পড়েছে। মুখে ক্লান্তির ছাপ। কিন্তু হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছে আনন্দের খবর। চেহারা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মা হতে চলেছেন তিনি। অর্থাৎ অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে। এ ছবি তাঁর রিল লাইফের। রিয়েল নয়। পাশে রয়েছেন অভিনেতা ওম। আসন্ন ছবি ‘লকডাউন’-এ প্রথমবার একজন সন্তানসম্ভবা মহিলার চরিত্রে মানালি অভিনয় করছেন।
‘লকডাউন’-এর পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত সম্পর্কে মানালি–অভিমন্যু দম্পতি। প্রথমবার এই ধরনের চরিত্রের বিষয়ে TV9 বাংলাকে মানালি বললেন, “লকডাউনের টানপোড়েন নিয়ে গল্প। আমার চরিত্রের নাম অনুরাধা। খুব ম্যাচিওর্ড ক্যারেক্টার। প্রেগন্যান্ট ক্যারেক্টার। আমি এই প্রথম এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছি। ওম রয়েছে আমার সঙ্গে। এ ছাড়াও সোহম, রাজনন্দিনী, শ্রাবন্তী এবং আদৃত রয়েছে। অনেক ওঠাপড়া রয়েছে গল্প জুড়ে। এখন এর থেকে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না।”
নিজের শরীরের অভ্যন্তরে আর একটা প্রাণকে বড় করে তোলার জার্নি যে কোনও মেয়ের কাছেই খুব ইমোশনাল। সেই ইমোশনকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? মানালি বললেন, “এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি পর্বের সম্পূর্ণ ক্রেডিট আমি অভিমন্যুকেই দেব। স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ে আমাকে আর ওমকে একসঙ্গে বসিয়ে ব্রিফ করেছিল। ফ্লোরেও ভাল করে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিল। আর আমি বিভিন্ন ছবিতে প্রেগন্যান্ট ক্যারেক্টারদের দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি। কারণ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় হাঁটা, বসা সব কিছুই তো অন্যরকম হয়। শুটিংয়ে নিজের শরীরের থেকে বাইরে একটা জিনিস ক্যারি করতে হয়েছিল আমাকে। ফলে সেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাডপ্ট করতে হয়েছিল।”
এর আগে অভিমন্যুর পরিচালনায় ‘নিমকি ফুলকি’র দুটো পার্টে অভিনয় করেছেন মানালি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও ফ্লোরে অভিমন্যু এবং মানালি পেশাদার। অভিনেত্রী আগেই শেয়ার করেছিলেন, “ফ্লোরে ও একদমই ডিরেক্টর। আমাকেও অন্য প্রজেক্টের মতোই প্রথমে গল্প বলা হয়েছিল, শুনেছি। একটু সময় নিয়েছি। তারপর কনফার্ম করেছি। অন্য আর্টিস্টদের মতে ট্রিট করেছে। ডিরেক্টর হিসেবে ট্রিট করেছে। এটুকু বলতে পারি, এটা আমার একদম অন্যরকমের কাজ।”
গত বছর মানালি এবং অভিমন্যুর জন্য একেবারে অন্য রকমের একটা সময় ছিল। লকডাউনের মধ্যেই ১৫ অগস্ট ২০২০ তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। ওই বছরই বড়পর্দায় অভিমন্যুর পরিচালনায় প্রথম অভিনয় করেন মানালি। বাড়ির বাইরেও লকডাউন-এর শুটিংয়ে একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল তাঁদের। বাড়ি ফিরেও কি ছবি নিয়ে আলোচনা হত? সে প্রসঙ্গে মানালি আগেই TV9 বাংলাকে বলেছিলেন, “আমি যে কাজে থাকি, সে কাজের আলোচনা অভি বাড়িতে করে না। কারণ শুটিংয়ের পরে কী হচ্ছে, বাকিরাও তো জানতে পারে না। যে কাজে থাকি না, তার আলোচনা তাও কখনও বাড়িতে হয়।”
গতকালই মুক্তি পেয়েছে শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, সুরে ইমন চক্রবর্তীর গাওয়া এই ছবির গান যারা তোমায় চেনে না ঠিক, তাদেরও যেন ভাল হয়। মানালি জানালেন, এখন নির্দিষ্ট দিন ঠিক না হলেও চলতি মাসেই মুক্তি পাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন, ‘তোমার কপালের শীতঘুমে’ শোভনকে ধন্যবাদ জানালেন ইমন